সাড়ে ৪ বছর জেলখাটার পর পকসো মামলায় বেকসুর খালাস অশিক্ষক কর্মী, তারপর?

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মনোজ মান্নাকে বেকসুর খালাস করে আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক উমেশ সিং

২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। দক্ষিণ কলকাতার (Kolkata) এক নামি বেসরকারি স্কুলের (School) চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর (group D staff) বিরুদ্ধে ওই স্কুলেরই এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ (allegation) উঠেছিল।

মনোজ মান্না নামে ওই অশিক্ষক কর্মীর (group D staff) বিরুদ্ধে নাবালিকার অভিভাবক তাঁদের মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ (allegation)দায়ের করেছিলেন বেহালা মহিলা থানায়। অভিযোগ (allegation) ছিল, খেলার ছলে ভুলিয়ে তাঁদের মেয়েকে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করেন মনোজ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মনোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পকসো আইনে মনোজের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারীরা।

মামলা চলাকালীন দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর জেলবন্দি থাকার পর পকসো মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গত, সোমবার মনোজ মান্নাকে বেকসুর খালাস করে আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক উমেশ সিং।

সূত্রের খবর, ৮০টি সিসিটিভির ফুটেজ, ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের বয়ান। ১৬১ ধারায় পুলিস বয়ান নেয়। ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেও নেওয়া হয় গোপন জবানবন্দি। ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। পাশাপাশি, অভিযুক্তের তরফেও চার জন সাক্ষীকে কোর্টে পেশ করা হয়। নির্যাতিতা ছাত্রীর মেডিক্যাল রিপোর্টের ভিত্তিতে তিন জন চিকিৎসকের বয়ান নেয় আদালত। তাঁদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত দু’জন চিকিৎসক আদালতকে জানান, তাঁরা ওই রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পাননি। সবকিছুর পর অভিযুক্ত মনোজ মান্নাকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা যায়নি আদালত। ফলে বেকসুর খালাস পেয়ে যান মনোজ।

জলের বদলে ভুল করে মদের মধ্যে কীটনাশক, মৃত ৩, শঙ্কাজনক৩

বেকসুর খালাস হওয়ার পর মনোজ মান্না তাঁর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতে বলেন, ‘‘জেলে গত চারবছর ধরে আমি রাতে ঘুমোতে পারিনি। আমার ছেলে স্কুলে পড়ে। ছেলে ও স্ত্রীকে চার বছর ধরে অনেক কটূক্তি, অপমান সইতে হয়েছে। কিন্তু আমি যে নির্দোষ, প্রথম থেকেই সে কথা মামলার তদন্তকারী অফিসার ও আদালতকে জানিয়েছিলাম। অবশেষে সঠিক বিচার পেলাম।’’

By Election: উপনির্বাচনের দিনক্ষণ পরিবর্তন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস

সিপিএম রাজ্য সম্মেলন : একদিকে ঘুমন্ত নেতাদের ছবি, অন্যদিকে দল আলিমুদ্দিনের কয়েকজনের সম্পত্তি নয় সমালোচনায় বিদ্ধ নেতৃত্ব

মনোজের আইনজীবী সেলিম রহমান বলেন, ‘‘পকসো আইনে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে এক জন নির্দোষ ব্যক্তিকে চার বছর জেল হেফাজতে রাখা হল।অভিযোগকারীদের সমাজবিরোধী বললেও কম বলা হয়। আমি অনুরোধ করব, যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিরপরাধ মনোজকে তাঁর চাকরি ফিরিয়ে দেয়।”

 

Previous articleঅপেক্ষার অবসান! আজ থেকে শুরু হল ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ
Next articleউচ্চমাধ্যমিকের মাঝে উপনির্বাচন, পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে কমিশনে তৃণমূল