Sunday, November 9, 2025

Trinamool Congress এর তরফে টিভি বিতর্কে কুণাল ঘোষ বা জয়প্রকাশ মজুমদারকে পাঠানো হলে সেই চ্যানেলে সেদিন বক্তা দেবে না বিজেপি। এই মর্মে তাদের তরফে চ্যানেলগুলিকে জানানো হয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, জয়প্রকাশবাবুর মুখোমুখি তারা হতে চায় না। আর কুণাল সম্পর্কে তাদের অভিযোগ তর্কের সময় বিজেপির বক্তাকে আপত্তিকর কথা বলেছিলেন কুণাল। বিষয়টি নিয়ে তিনচার দিন ধরে চ্যানেলগুলিতে টানাপোড়েন চলছে। মঙ্গলবার Republic TV, বুধবার TV 9 -এ ছিলেন জয়প্রকাশ। বুধবার কুণাল ছিলেন ABP আনন্দে। বিজেপি বক্তা দেয়নি। যদিও এবিপিতে আর এস এস সদস্য আদি বিজেপি স্বপন দাস উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, রিপাবলিক এবং টিভি 9 তৃণমূল মিডিয়া সেলকে বিষয়টি জানিয়েছে। মজার বিষয় তৃণমূলের এই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং কুণাল নিজেই। রিপাবলিক এবং টিভি 9 এর বক্তব্য ছিল যদি জয়প্রকাশকে বদলে অন্য বক্তা দেওয়া যায়। তৃণমূল কড়া অবস্থান নিয়ে জানিয়ে দেয় তাদের তরফে কে যাবেন, সেটা তারাই ঠিক করবে। তারা জয়প্রকাশবাবুকেই পাঠায়। এবিপি অবশ্য এধরণের কোনো অনুরোধ করেনি।


আরও পড়ুন:Abhisekh Chatterjee :প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়

উল্লেখ্য, কদিন আগে এবিপিতে এক বিতর্কে বিজেপি বক্তা প্রণয় রায় যুক্তিতে না পেরে বারবার কুণালকে ব্যক্তি আক্রমণ করছিলেন। একসময় তিনি পরপর দুবার কুণালকে অসভ্য বলেন। তখন কুণাল বলেন, জানোয়ারটা এলো কোথা থেকে? তারপরেই অবশ্য কুণাল নিজেই বলেন, এই শব্দটি আমার মুখ থেকে বেরনো ঠিক হয়নি। আমি দুঃখিত। ফলে সঞ্চালক সুমন দেও আর জল গড়াতে দেননি। এখন এই ‘জানোয়ার’ শব্দটি নিয়েই রাগ দেখাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু তার আগে তাদের বক্তা যেভাবে অসভ্য বলেছেন, তা নিয়ে তাদের উচ্চবাচ্য নেই।

এদিকে এই বয়কট নিয়ে বিজেপির মধ্যেই দুটি ভাগ। একটি অংশ বয়কট চালানোর পক্ষে। অন্য অংশ বলছে এই ছেলেমানুষিতে অপরিণত রাজনৈতিক বুদ্ধির প্রতিফলন। কারণ কোন দলের কে আসবে সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়। এনিয়ে চাপ দিলে নিজেদেরই স্লট নষ্ট। অনেক সময় নীতিগত কারণে কোনো চ্যানেলে কোনো দল অনুপস্থিত থাকার নজির আছে। কিন্তু অন্য দলের কে যাবে না যাবে, তা নিয়ে মাথা ঘামানো হাস্যকর। এই অবস্থান বেশিদিন ধরে রাখাও কঠিন। রিপাবলিকে অবশ্য বিজেপির আলাদা বক্তা না থাকলেও বিজেপির অনুপস্থিতি বুঝতে দেন না সঞ্চালকরা। টিভি 9থেকে সমঝোতা ফর্মুলায় বুধবার বলা হয়েছিল জয়প্রকাশ আটটা থেকে সাড়ে আটটা বসুন। তারপর বিজেপি বসবে। কিন্তু তৃণমূল স্পষ্ট বলে দেয় জয়প্রকাশ পুরো অনুষ্ঠান করবেন। অন্যায় দাবিতে সমঝোতা হবে না। জয় পুরোটাই করেন। এবিপি অবশ্য এইসব অন্যায্য দাবিতে মাথা ঘামায়নি। কোন দলের কে যাবেন, সেটা তাদের ব্যাপার, এই নীতিতে আছে। সর্বশেষ খবর, তৃণমূলের সিদ্ধান্ত তারা স্বাভাবিকভাবেই কুণাল ও জয়প্রকাশকে রেখেই বক্তাতালিকা সাজাবে। ফলে তৃণমূলের এই দুই বক্তাকে সামলাতে নতুন কৌশল ভাবছে বিজেপি।

Related articles

বেঁচে থাকলে রবীন্দ্রনাথ-নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত! পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপিকে আক্রমণ দেবাংশুর

ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বেঁচে নেই। নইলে বিজেপি রবীন্দ্রনাথকে রোহিঙ্গা ও নজরুলকে অনুপ্রবেশকারী বলে দাগিয়ে দিত। শনিবার পুরুলিয়া শহরের...

টাকা পেয়েও কাজে দেরি! ‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে কড়া প্রশাসন, রিপোর্ট চাইল নবান্ন

প্রথম দফায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওয়ার পরও বহু উপভোক্তা এখনও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের কাজ শুরু করেননি।...

ঝুলনের চোখে বাংলার সেরা ক্রিকেটার রিচা, মহিলা ক্রিকেটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সৌরভ

বাংলার বিশ্বকাপ জয়ী একমাত্র ক্রিকেট তারকা রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে শনিবার ইডেন গার্ডেন্সে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন...

সৌরভ ছাড়া অন্য কারও ICC সভাপতি থাকার কথা নয়: বললেন ‘ঠোঁটকাটা’ মমতা

ছিল বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শনিবার ইডেনে সেই অনুষ্ঠানে বোমা ফাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের...
Exit mobile version