কোথায় তিনি? প্রতিষ্ঠা দিবসেই দিলীপকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা সুকান্তদের

কোথায় গেলেন দিলীপ ঘোষ? বিজেপির ৪২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। অথচ দিলীপ ঘোষের ছবি ছাড়াই পোস্টার দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। আর সে নিয়ে দলের মধ্যেই চরম বিতর্ক। কেন দিলীপ ঘোষকে এভাবে অপমান করা হল? দিলীপপন্থীরা কোমড় বেঁধে নেমেছে। তাঁদের যুক্তি দিলীপ ঘোষ শুধু প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি নন, রাজ্য বিজেপির সর্বকালীন সফল সভাপতি। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক। বর্তমান সাংসদ এবং দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তাহলে কেন তাঁকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা?

আরও পড়ুন:Petrol Diesel Price Hike: ১৬ দিনে ১৪ বার! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে পকেটে টান মধ্যবিত্তর

লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, বিজেপির ট্যুইটে যে পোস্টারটি ছাড়া হয়েছে, তাতে একদিকে মোদি-নাড্ডা, অন্যদিকে সুকান্ত-শুভেন্দু। ট্যুইটি সামনে আসার পরই দিলীপপন্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। তাঁদের বক্তব্য হল, দলের ‘ট্রেনি’ রাজ্য সভাপতি জেলা কমিটি তৈরিতে ব্যর্থ, দলে বিদ্রোহ রুখতে ব্যর্থ এবং দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর দলকে মোটামুটি গোটা চার-পাঁচ গোষ্ঠীতে ভাগ করে ফেলেছেন। নিজের আসন যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে তাই বিরোধী দলনেতা পেগাসাস অধিকারীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। এবং তাঁকে ছবিতে রাখতেও বাধ্য হয়েছেন।

দিলীপপন্থীদের বক্তব্য সুকান্ত নিরঙ্কুশ হওয়ার চেষ্টায়(সোনার পাথরবাটি) দিলীপকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আর বিরোধী দলনেতার চারধারে এতটাই দিলীপ দিলীপ আওয়াজ যে তিনিও সুকান্তর স্রোতে গা ভাসিয়েছেন। ফলে দলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজ্য বিজেপির সফলতম সভাপতির ছবি ছাড়াই পোস্টার তৈরি হয়েছে।

রাজ্য বিজেপির তাত্ত্বিক মহল বলছেন, আমাদের দিলীপ ঘোষকে পছন্দ নাই হতে পারে। কিন্তু, এটা তো মানতেই হবে দিলীপই রাজ্যের সবচেয়ে সফল মুখ এবং একনম্বর নেতা। তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নেদারল্যান্ডস গিয়েছেন সরকারি সফরে। প্রতিষ্ঠা দিবসে থাকতেও পারতেন না। পোস্টারে তাঁর ছবি দিলে বরং এই রাজ্য কমিটি বলতে পারত তারা গোষ্ঠীবাজির ঊর্ধ্বে। আর যা ঘটানো হল, তা আসলে বিজেপির চরম গোষ্ঠীকোন্দলকে সামনে এনে দিল। রাজ্য সভাপতি বা বিরোধী দলনেতা হতে গেলে মনটা অনেক বড় করতে হয়। বিজেপির এই টিম আসলে কুয়োর ব্যাঙ। এরা নিজেরাই অস্তিত্ব সংকটে ভোগে। তাই দিলীপ ঘোষের ছবি আর ছায়া দেখলে এদের রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যায়।

Previous articleRampurhat Case:আনারুলের নির্দেশেই বগটুইয়ে আগুন, দাবি সিবিআইয়ের
Next articleCPIM পার্টি কংগ্রেস: RSS-কে ঘায়েল করতে তাদের কৌশলই রপ্ত করতে চায় কমিউনিস্টরা