জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সংসদের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের

পাঁচ রাজ্যে ভোট মিটতেই চরচরিয়ে বাড়ছে পেট্রোপণ্যের দাম। আর তাতেই নাজেহাল মধ্যবিত্তর। লাগাতার দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে একাধিকবার সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু কর্ণপাত করতে নারাজ কেন্দ্র। উল্টে ‘অজুহাত’ খুঁজতে ব্যস্ত তারা। বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে সংসদের বাইরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। আজ সকাল দশটা পনেরো নাগাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করবেন তাঁরা।

আরও পড়ুন:ডবল ইঞ্জিন সরকার! কেন্দ্রের ঋণে শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ, প্রথম পাঁচে নাম নেই বাংলার

বুধবার সংসদের জিরো আওয়ারে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সরব হয়ে সৌগত রায় বলেন, যেভাবে প্রতিদিন পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে তাতে অবিলম্বে এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করা উচিৎ কেন্দ্রের। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার ফলে হু হু করে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। পরিস্থিতি যা তাতে না খেয়ে মরার মত অবস্থা দেশবাসীর। সরকার এই বিষয়ে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় তার জন্য আবেদন জানান তৃণমূল সাংসদ। পাশাপাশি এদিন নিজের বক্তব্যে সৌগত রায় আরও দাবি জানান, সরকার পক্ষ মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে সংসদে আলোচনা করুক। যদিও এই ইস্যুতে সংসদে কোনও রকম আলোচনায় রাজি হয়নি মোদি সরকার।


উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যে ভোট মিটতেই জ্বালানি জ্বালা শুরু হয়েছে। এমনকি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব খোদ বিজেপির শরিকদল জেডিইউ। বৃহস্পতিবার কলকাতায় ডিজেলের দাম বাড়ল লিটারপ্রতি ৯৯.৮৩ টাকা। অন্যদিকে লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম ১১৫.১২টাকা।  ১৬ দিনে ১৪ বার দাম বেড়েছে জ্বালানির। পেট্রোল ডিজেল তো আছেই, একলাফে অনেকটাই দাম বেড়েছে রান্নার গ্যাস, বাণিজ্যিক গ্যাস ও কেরোসিনেরও।  জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে জিনিসপত্রের দামের ওপর। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকলের নাজেহাল অবস্থা। সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। আমজনতার দুরাবস্থার কথা জেনেও মুখে কুলুপ এঁটেছে বিজেপি সরকার।

Previous articleBreakfast News: ব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleতপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য