মার্কেটিং কেলেঙ্কারি চালানোর অভিযোগে অ্যামওয়ে ইন্ডিয়া এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেডের ৭৫৭.৭৭ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুলে সংস্থার কারখানা ও জমি, প্ল্যান্ট, যন্ত্রপাতি, গাড়ি ইত্যাদি। ব্যাংক অ্যকাউন্ট এবং ফিক্সড ডিপোজিটও ফ্রিজ করেছে ইডি। প্রায় ৪১১ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সহ ৩৬টি অ্যাকাউন্টে থাকা ৩৪৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি।

বেআইনি অর্থ পাচারের তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে সরাসরি বহুস্তরীয় বিপণন নেটওয়ার্কের আড়ালে পিরামিডের মতো নেটওয়ার্ক তৈরি এবং পরিচালনা করে এই মার্কিন সংস্থা। তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রতারণার একাধিক কৌশল। ইডি জানিয়েছে, অ্যামওয়ের বিক্রি করা জিনিসের দাম বিকল্প পণ্যের তুলনায় অনেক বেশি। সে বিষয়ে তথ্য গোপন করে সংস্থার সদস্য হিসাবে সাধারণ মানুষকে নেটওয়ার্কে যোগদান করিয়ে বেশি দামে জিনিস কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে।

তবে যোগদানকারী সদস্যরা নিজেদের ব্যবহারের জন্য জিনিস কিনছেন না, শুধুমাত্র অর্থ উপার্জনের জন্যই সদস্য হচ্ছেন। ২০০২-০৩ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত এভাবে ব্যবসা করে অ্যামওয়ে মোট ২৭,৫৬২ কোটি টাকা আয় করেছে। তার মধ্যে ডিস্ট্রিবিউটর ও সদস্যদের কমিশন বাবদ দিয়েছে ৭,৫৮৮ কোটি টাকা। ইডি -র দাবি, পণ্যের বিষয়ে সংস্থার কোনও রূপরেখা নেই।

আরও পড়ুন- উপনির্বাচনে আসানসোল বিজেপির মুখে ঝামা ঘষেছে, BGBS-এ মোদি লজ্জায় আসছেন না: কুণাল