যোগীরাজ্যে পরপর নৃশংস গণহত্যা, প্রয়াগরাজে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি

যোগী রাজ্যের প্রয়াগরাজে এক সপ্তাহে দুটি খুনের ঘটনায় পাঁচ শিশু সহ খুন ১০ জন। গত শুক্রবার রাতে ফের উত্তরপ্রদেশে নৃশংসভাবে খুন করে পুড়িয়ে দেওয়া হল এক শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচ জনকে‌‌। খুনের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বাড়িও। প্রয়াগরাজের (Prayagraj) নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে আজ, রবিবার খোয়াজপুরে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।

ইতিমধ্যেই প্রয়াগরাজের (Prayagraj) উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন, দোলা সেন, মমতা বালা ঠাকুর, সাকেত গোখেল, জ্যোৎস্না মান্ডি ও ললিতেশ ত্রিপাঠি। ঘটনাস্থল ঘুরে এসে রিপোর্ট দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে‌ (Mamata Banerjee)। এর আগে দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীতেও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায় তৃণমূল। তবে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ওই টিমকে আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ।

শনিবার সকালে প্রয়োগরাজের খোয়াজপুর গ্রামের বাড়িতেই পাওয়া গিয়েছে ৫ জনের মৃতদেহ। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন রাম কুমার যাদব (৫৫), তাঁর স্ত্রী কুসুম দেবী (৫২), মেয়ে মনীষা (২৫), পুত্রবধূ সবিতা (২৭), এবং নাতনি মীনাক্ষী (২)। আর এক নাতনি সাক্ষী (৫) বেঁচে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যাদবের ছেলে সুনীল (৩০) তিনি খুনের ঘটনার সময় বাড়িতে ছিলেন না। সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক অজয় কুমার জানিয়েছেন, মৃতদেহের গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে বোঝা যাচ্ছে পাঁচ জনেরই মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তারপর মৃতদেহগুলোকে পোড়ানো হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা বাড়ি।

আরও পড়ুন: ট্রেনে বিলি করা হল উগ্র হিন্দুত্ববাদী পত্রিকা! ক্ষোভ প্রকাশ যাত্রীদের

তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বাংলার অর্থমন্ত্রী ও মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, শুক্রবার রাতে যে বীভৎস ঘটনা প্রয়োগ ঘটেছে তা অকল্পনীয়। নিন্দার ভাষা নেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াগরাজকে প্রবিত্র ভূমি বলেন। সেখানে এরকম ঘটনা খুবই বেদনাদায়ক। যখন বাড়ির ছেলে উপস্থিত ছিল না তখন বাড়ির ৫ জনকে খুন করা হয়েছে। একটি মেয়েকে পাওয়া গিয়েছে বিবস্ত্র অবস্থায়। এতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। অনেকে যোগী রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফলাও করে ব্যাখ্যা করেন। আমাদের প্রশ্ন, এটা যোগীরাজ না গুন্ডারাজ? চন্দ্রিমার আরও প্রশ্ন, এখানে যারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলে তারা এখন বোবা-কালা হয়ে গিয়েছে। এখন যোগীরাজ্যে ৩৫৫/৩৫৬ করার কথা বলবেন না? এরা এমনকি বাড়িটা জ্বালিয়ে দিয়েছে। একটা সময় গঙ্গায় লাশ ফেলেছে। এখন আবার এই পবিত্র ভূমিকে কালিমালিপ্ত করল। আমরা যোগী আদিত্যনাথ, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাব চাই। মানবাধিকার কমিশন গত কয়েক বছরে ১১ হাজার ১২১ টি অভিযোগ পেয়েছে। ৫৯টি এরকম খুন হয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই হয়েছে উত্তরপ্রদেশে।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলায় যাঁরা à§©à§«à§«, ৩৫৬ ধারা জারির কথা বলেন, তাঁরা এবার কী বলবেন? বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম কি এবার প্রয়াগরাজে যাবে?”