জলের দরে শেয়ার বিক্রি না করে LIC-র আইপিও বন্ধের দাবি বিরোধীদের

বুধবার অর্থ্যাৎ আজ থেকে ঘোষিত হল ভারতীয় জীবনবিমা নিগমের (লাইফ ইনশিয়োর‌্যান্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া বা এলআইসি) ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং বা আইপিও।  এর মাধ্যমে ২১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় কেন্দ্র। যদিও এর জেরে এলআইসি-র মালিকানার একাংশ জলের দরে বেচে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মোদি সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, জলের দরে শেয়ার বেচছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। অর্থনীতিবিদদের একাংশের দাবি, এর জন্য  ৫৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হবে।



আরও পড়ুন:টেট দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই চেয়ে হাইকোর্টে মামলা বিজেপির

এলআইসি-র শেয়ার ছাড়ার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখেছিল অর্থনীতিবিদ সি পি চন্দ্রশেখর, প্রভাত পট্টনায়ক, আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ, অবসরপ্রাপ্ত আমলা ই এ এস শর্মা, কেরলের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী থমাস আইজ্যাকদের তৈরি ‘রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিষয়ক জনগণের কমিশন’ । এলআইসি-র মুনাফা ও ব্যবসার পরিমাণের ভিত্তিতে এর মূল্য ধরা হয়েছে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা। তার ভিত্তিতে প্রতি শেয়ারের ন্যূনতম মূল্য হওয়ার কথা ৮৫৩ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার এলআইসি-র বিমা গ্রাহকদের জন্য ৮৮৯ টাকা দর ঠিক করেছে।

কমিশনের বক্তব্য, বাস্তবে শেয়ারের দর ঠিক করতে হলে বিমা সংস্থার বাজার মূল্যকে আড়াই থেকে চার গুণ করে, তারপরে শেয়ারের দর ঠিক করা উচিত। দু’মাস আগে পর্যন্তও তেমনটাই ঠিক ছিল। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। এলআইসি-র বাজার মূল্যকে আড়াই গুণ করে শেয়ারের দর ঠিক হলে, প্রতি শেয়ারের দাম হত ২,১৩২ টাকা। এলআইসি-র ৩.৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে সরকারের আয় হত ৪৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। যেখানে সরকার মাত্র ২১ হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলতে চাইছে। অর্থাৎ, প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকার লোকসান। এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনেও সুর চড়িয়েছেন তারা।

কেন এলআইসি-র বিমায় আয়ের হার, দেশের বাজারে দখল, বৃদ্ধির হার, সম্পদ— সব কিছু উপেক্ষা করা হচ্ছে?কেন যুদ্ধের টালমাটাল পরিস্থিতিতে শেয়ার ছাড়া হচ্ছে?ফেব্রুয়ারি মাসে এলআইসি-র ১২-১৪ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যায়ন করেও কেন দু’মাসের মধ্যে তা ৬ লক্ষ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হল?দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন লগ্নিকারী সংস্থার সঙ্গে বৈঠকের পরেই কেন এলআইসি-র মূল্য কমানো ও ৫%-র বদলে ৩.৫% শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এইসব প্রশ্ন তুলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। এমনকি LIC-র আইপিও বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন অনেকে।





Previous articleগোয়ায় তৃণমূল পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে এবার কীর্তি আজাদ
Next articleশ্রেয়া ঘোষালের নামে প্রতারণার শিকার বাংলাদেশ দূতাবাস