প্রায় ছ’ ঘণ্টার চেষ্টায় অবশেষে কাশীপুরের নিহত যুবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠাল পুলিশ। যদিও দেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। নিহত যুবক অর্জুন চৌরাশিয়ার পরিবার প্রথমে দেহ ছাড়তে চাননি। চিৎপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা অনেকবার শান্তভাবে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। অবশেষে প্রায় ছ’ ঘণ্টা পরে পুলিশ দেহ উদ্ধারে সমর্থ হয়।

শুক্রবার সকালে টালা ব্রিজ সংলগ্ন কাশীপুর রেল কলোনি এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিজেপি যুবমোর্চা নেতা বছর ছাব্বিশের অর্জুন চৌরাশিয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। । পরিবার ও বিজেপি সমর্থকদের দাবি খুন করা হয়েছে অর্জুনকে। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে, কলকাতায় পা রেখেই মৃত যুবমোর্চা নেতার কাশীপুরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
যদিও তৃণমূলের দাবি, মৃত যুবক গত কলকাতা পুরসভা ভোটে তাদের হয়ে কাজ করেছিল। ঘটনাস্থলে এসে কাশীপুর-বেলগাছিয়ার তৃণমূল বিধায়ক অতীন ঘোষ দাবি করেন, কাশীপুরে মৃত যুবক পারিবারিকভাবে কংগ্রেসি পরিবারের ছেলে, বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না। গত পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিল। মৃত যুবকের বাবা কংগ্রেস করতেন। তিনিও আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন। বিজেপি এখানে মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে।

এদিন চিৎপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ দেহ উদ্ধারে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। তদন্তে নেমেছে লালবাজারের বিশেষ টিম। পুলিশ জানিয়েছে মৃতর ঘর থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। গোটা এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।
