একছত্র আধিপত্যে প্রদেশ কংগ্রেস(Congress) চালাচ্ছেন সভাপতি অধীর চৌধুরী(Adhir chowdhari)। তাঁর নেতৃত্বে বাংলায় কংগ্রেসের উন্নতির চেয়ে অবনতিই বেশি হচ্ছে। যার জেরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতে রাজ্যে উদয়পুরের ধাঁচে কংগ্রেসের (Congress) দু’দিনের নবসংকল্প শিবির বসেছে। শনিবার অবশ্য এআইসিসি নেতৃত্বের সামনে এ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে প্রদেশ নেতৃত্বের মধ্যে নানা মত প্রকাশ্যে এসেছে এদিন। সুত্রের খবর, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতিকে মান্যতা দিয়েই আগামিদিনে প্রদেশ সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরিকে সরানোর প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে চলেছে। অভিযোগ উঠেছে, অধীরের একছত্র আধিপত্যেই একুশের নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট বেধেছিল কংগ্রেস। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে দলের অন্দরে। আর এই আগুনে ঘি ঢালার কাজ করেছে কলকাতায় পি চিদম্বরমকে হেনস্তা। তাতেই অধীরের উপর নাখুশ শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে অধীরকে সরিয়ে যাকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক তাঁর সঙ্গেই চারজন কার্যকরী সভাপতি নিয়ে একটি কমিটি হতে পারে।

উল্লেখ্য, দু’দিনের নবসংকল্প শিবিরে রাজ্যের পর্যবেক্ষক হিসাবে শহরে উপস্থিত রয়েছেন তামিলনাড়ুর সাংসদ চেল্লা কুমার, ওড়িশার নেতা শরৎ রাউত ও দিল্লির নেতা বি পি সিং। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল কোন পথে চলবে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় এদিন। যদি জোটের পথে যেতে হয় সেক্ষেত্রে কার সঙ্গে জোট হবে সিপিএম নাকি তৃণমূল? তা জানতে চাওয়া হয় প্রদেশ নেতৃত্বের কাছে। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে এ বিষয়ে কোনওকিছুই স্পষ্ট করা হয়নি নেতৃত্বের তরফে। তবে জোট প্রসঙ্গে চেল্লা কুমার জানান, এবিষয়ে কর্মীদের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তবে নিজেদেরও তৈরি থাকতে হবে। ৮ আগস্ট থেকে দেশজুড়ে সংকল্পযাত্রা কংগ্রেসের। তার আগে রাজ্যজুড়ে ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে এই কর্মসূচি করবে প্রদেশ কংগ্রেস।
