Bhabanipur Murder: ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতি খুনে জড়িতরা কি পূর্ব পরিচিত ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ

ভবানীপুরের গুজরাতি দম্পতি খুনে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য।তদন্ত যত এগোচ্ছে ততোই একটি প্রশ্ন সামনে আসছে যে এর সঙ্গে জড়িতরা কি পূর্ব পরিচিত কেউ? পুলিশ কিন্তু বিষয়টিকে মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছে না৷
সোমবার সন্ধ্যায় ভবানীপুরের(Bhabanipur) বাড়ি থেকে ওই দম্পতির রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়৷ পুলিশের কাছে একটি প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা।তা হল, হরিশ মুখার্জির মতো জনবহুল এলাকায় বাড়ির ভিতর দম্পতিকে খুন করে নিশ্চিন্তে চলে গেল আততায়ী, অথচ কেউ টের পেলেন না কেন? এমনিতেই এলাকাটি সর্বক্ষণ পুলিশের নজরদারিতে থাকে৷ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ওই এলাকায়৷ তিনি ভোট দিতে যেখানে যান, সেই মিত্র ইনস্টিটিউশনের (Mitra Institution) কয়েকটা বাড়ি পরেই ওই দম্পতির বাড়ি৷পুলিশ নিশ্চিত যে আততায়ী এটা জানত৷ তা সত্ত্বেও সে বিনা বাধায় বাড়িতে ঢুকল কী করে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পুলিশ মনে করছে, সম্ভবত পূর্বপরিচিত বলেই আততায়ী বাড়িতে সহজেই ঢুকতে পেরেছে৷

আরও পড়ুন- সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে অশ্রাব্য গালিগালাজের লাইভ-ভিডিও! গোয়া থেকে গ্রেফতার রোদ্দুর রায়
এই ঘটনাকে সামনে রেখে বিজেপি(BJP) আইনশৃঙ্খলা অবনতির যে প্রশ্ন তুলেছে তাকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে কার বাড়ির কাছে ঘটেছে, দল, সরকার, আইনশৃঙ্খলা কোনও কিছুরই সম্পর্ক নেই।আগেও কোনওদিন ছিল না, এখনও নেই।যারা এই ধরণের ঘটনা যারা ঘটান তার নেপথ্যে কোনও না কোনও কারণ থাকে।যারা এটা নিয়েও নানান মন্তব্য করছেন, জানবেন সস্তা প্রচারের জন্য,খবরে ভেসে থাকার জন্য করছেন।
যদিও আরও একটি প্রশ্নের উত্তর তদন্তকারীরা খুঁজছেন। খুনের মোটিভ কী? সোমবার সন্ধ্যায় খুনের পর বাড়িতে ঢুকে তদন্তকারীরা দেখেন গোটা ঘর লন্ডভন্ড৷ কিন্তু ঘর থেকে মূল্যবান তেমন কিছুই খোয়া যায়নি৷ শুধু মৃত অশোক শাহ এবং রশ্মিতা শাহের আংটি, কিছু সোনার গয়না এবং তাদের মোবাইল ফোন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷
এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে আততায়ী প্রমাণ করতে চেয়েছিল লুটপাটের উদ্দশ্যেই খুন৷ কিন্তু লুটপাটই যদি উদ্দেশ্য ছিল তাহলে খুন কেন ? ঘর লন্ডভন্ড কেন করা হল? তবে কি আততায়ী কিছু খুঁজতে এসেছিল? সেটা কী? তদন্তকে বিভ্রান্ত করতে আংটি চুরি, মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে আততায়ী? এ সব প্রশ্নের উত্তরই এখন খুঁজছেন তদন্তকারীরা৷ হাইপ্রোফাইল এলাকাটি সিসিটিভিতে(CCTV) মোড়া৷ খুনীর নাগাল পেতে সেই সিসিটিভি ফুটেজই এখন ভরসা তদন্তকারীদের৷ বাড়ির আশেপাশে যত সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে সব ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে৷ যে কোনও খুনের তদন্তে মোবাইল ফোন ঘেঁটে অনেক সূত্র পাওয়া যায়৷ কিন্তু মৃতের মোবাইল ফোনটি গায়েব৷ যদিও তদন্তকারীরা কললিস্ট ঘেঁটে তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন।
ভবানীপুরে খুনের ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ব্যবসায়ীর বাড়ির পরিচারিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। নির্মীয়মাণ বহুতলের এক ঠিকা শ্রমিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানা গিয়েছে, নিহত দম্পতির বাড়ির সামনে ৩টি সিসি ক্যামেরাই বিকল। রাস্তায় লাগানো পুলিশের ক্যামেরার ফুটেজেই তাই নজর দিচ্ছেন তদন্তকারী দল।


Previous articleক্যান্সার আক্রান্ত সোমাকে চাকরি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বিচারপতির
Next articleSarfaraz Khan: রঞ্জিতে ফের ব‍্যাট হাতে শতরান সরফরাজের