তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের তৎপরতা, পালানোর আগে জালে অভিযুক্ত

বুধবার, সকাল ৯টা ৫০নাগাদ বাসন্তী হাইওয়ে (Highway) ধরে পালানোর পথে তাকে আটক করে তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের (Tiljala Traffic Guard) পুলিশ। যদিও, নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। সন্দেহ হওয়ায়, ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী সন্দেহভাজনের ছবি তুলে পাঠান ভাঙড় থানায়।

প্রায় একমাস আগের ঘটনা। ভাঙড় (Bhangar) থানা অঞ্চলে মহিলার সঙ্গে কুরুচিকর ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে রফিকুল মোল্লা (Rafikul Molla) ওরফে ভুটান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাগে আনতে পারা যাচ্ছিল না। বুধবার, সকাল ৯টা ৫০নাগাদ বাসন্তী হাইওয়ে (Highway) ধরে পালানোর পথে তাকে আটক করে তিলজলা ট্রাফিক গার্ডের (Tiljala Traffic Guard) পুলিশ। যদিও, নিজের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। সন্দেহ হওয়ায়, ট্রাফিক গার্ডের ওসি সৌভিক চক্রবর্তী সন্দেহভাজনের ছবি তুলে পাঠান ভাঙড় থানায়। সেখান থেকেই জানানো হয়, এই সেই গুণধরই রফিকুল। সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় প্রগতি ময়দান থানায়। সেখান থেকে ভাঙড় থানার পুলিশ অভিযুক্তকে নিয়ে যায়।

গত মাসের ২৯ তারিখ ভাঙড় থানা অঞ্চলে এক মহিলার সঙ্গে কুর্কীতি করার জন্য রফিকুল মোল্লার বিরুদ্ধে আইপিসি 342/376D ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু তারপর থেকেই বেপাত্তা ছিল অভিযুক্ত। এদিন, গোপন সূত্রে খবর আসে সৌভিক চক্রবর্তীর কাছে। তিনি জানতে পারেন, সায়ান্স সিটি-র কাছে গাড়ি বদল করে শিয়ালদহ বা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে রাজ্য ছাড়ার পরিকল্পনা করেছে ভুটান। সেই মতো, পরমা আইল্যান্ড অঞ্চলে নজরদারি ও নাকা চেকিং জোরদার করা হয়। জালে পড়ে অভিযুক্ত। প্রথমে ভুল নাম বলে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে রফিকুল। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় ওসি সৌভিককে জানানো হয়। তাঁর তৎপরতায় ধরা পড়ে অভিযুক্ত। একবার রাজ্য ছেড়ে চলে গেলে রফিকুলকে ধরা কঠিন হত।



Previous articleবুলডোজার নীতি প্রয়োগ বন্ধে কেন্দ্রকে চিঠি রাষ্ট্রসংঘের দূতের
Next articleZaheer Abbas: আইসিইউতে ভর্তি পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক জাহির আব্বাস