বিরোধীদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে কোণঠাসা করানোর বিষয় নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বহুবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার, দুর্গাপুরে দুই বর্ধমানের (Bardhawan) প্রশাসনিক বৈঠক থেকেও এই বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা। বলেন, সিবিআই (CBI) জুজু দেখিয়ে বারবার বিরোধীদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্তের জন্য ডেকে পাঠানো হচ্ছে টোটোচালক থেকে চিকিৎসক, সাংবাদিকদের। সবাইকে হেনস্তা করা হচ্ছে।

প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই তীব্র কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখান সিবিআইয়ের কেসে বীরভূমের গরিব ঘরের টোটোচালককেও ডেকেছে। ডা অভিজিৎ চৌধুরীকেও ডাকা হয়েছে। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য-বিধায়কদের ডেকে ডেকে হেনস্তা করা হচ্ছে।” তবে এসব উপেক্ষা করেই কাজ চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন মমতা।
বিএলআরও অফিসগুলিকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে কৃষকদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, সেই বিষয়টিও দেখতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, যে সব কোল্ড স্টোরেজের অব্যবস্থায় আলু খারাপ হয়েছে, সেই মালিকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষকরা যাতে ধান বিক্রির সঠিক মূল্য পান, সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি। ঠিকা শ্রমিকদের পে স্লিপ দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে বিডিওদের বেশিক্ষণ অফিসে থাকতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন, বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সব জেলার ডিএম-এসপি-বিডিওরা (DM-SP-BDO) । সেখানেই মমতা বলেন, তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছে পাহাড়ে অনেক বিডিও অফিসেই যান না। গেলেও বিকেল পর্যন্ত থাকেন না। বিডিও-রা সন্ধে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত অফিসে থাকুন- নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।

পাশাপাশি, ইন্টারনেটে হিংসা-বিদ্বেষমূলক ভিডিও যাতে না ছড়ায় তার দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি অভিযোগ করেন, ইউটিউবে অনেকে কুৎসিত মন্তব্য করেছন। এধরনের কাজে কড়া পদক্ষেপ করতে বলেন মমতা।

মিড ডে মিল ও মা ক্যান্টিনের খাবারের মান ঠিক রাখতে DM-SP-দের মাঝেমাঝে তা চেখে দেখার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সঙ্গে জেলার বণিকসভাগুলির দাবি মেনে দুর্গাপুরে একটি বাস টার্মিনাস করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, রানিগঞ্জ বাজারে যানজট কমেতে পার্কিং লট তৈরির সরকার জমি দেবে বলে জানান মমতা।
