Sunday, August 24, 2025

নয়া সংসদ ভবনের অশোকস্তম্ভের সিংহ-বিতর্ক তুঙ্গে, ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যর্থ চেষ্টা নির্মাণশিল্পীদের

Date:

Share post:

দুদিন আগে নতুন সংসদ ভবনের (Parliament Building) অশোকস্তম্ভের  (Ashok Stambh) উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অতিকায় ব্রোঞ্জ নির্মিত স্তম্ভের সিংহগুলিকে বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।যদিও ওই স্তম্ভের নির্মাণশিল্পীরা দাবি করেছেন, মূল সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে স্তম্ভটির এত বড় আকারের কারণেই। আকার বড় হওয়ার ফলে ছোট ছোট ডিটেইলস চোখে পড়ছে। আর তাই মনে হচ্ছে এটা সারনাথের স্তম্ভটির থেকে আলাদা। অনুপাত ও দৃষ্টিকোণের পার্থক্যের কারণে এই বিভ্রম তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। তবে মূল অশোকস্তম্ভের আকারের সঙ্গে এর যে সামান্য তফাত রয়েছে তাও স্বীকার করেছেন নির্মাণশিল্পীরা। যদিও সব মিলিয়ে মূলটির সঙ্গে এটির ৯৯ শতাংশই মিল আছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন- কাঁথিতে বাতিস্তম্ভ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার

নির্মাণশিল্পীরা জানিয়েছেন, যে ছবিটি দেখে সবাই সমালোচনা করছেন সেটি আসলে আউট অফ জুম।একদিকে আকারে বড় এবং ছবিটি তোলা হয়েছে নীচের দিক থেকে। যার ফলে সিংহগুলির অভিব্যক্তির একটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এক নির্মাণশিল্পী স্পষ্ট জানিয়েছেন যে এটি তৈরি করার আগে তারা মিউজিয়ামে গিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছেন।তারা শুধুমাত্র মূল সারনাথের অশোক স্তম্ভের আদলেই তারা এটি তৈরি করেছেন। কিন্তু মূল স্তম্ভটি মাত্র আড়াই ফুটের।আর সংসদের উপরে রাখা সাড়ে ছয় মিটার দৈর্ঘ্যের অশোকস্তম্ভটিকে লোকে অন্তত ১০০ মিটার দূর থেকে দেখবেন। তখন আর কোনও তফাত মনে হবে না। চোখের মাপে দেখলে আউটলাইনটা একেবারে একই লাগবে।

উদ্বোধনের পর থেকেই ব্রোঞ্জের এই অতিকায় অশোক স্তম্ভকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার অভিযোগ করেছেন, জাতীয় প্রতীকের অবমাননা করা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র কোনও মন্তব্য না করলেও পুরনো অশোকস্তম্ভের সিংহ ও নয়া জাতীয় প্রতীকের সিংহের ছবি পাশাপাশি পোস্ট করেন।আসলে  তিনি পাশাপাশি দু’টি ছবি পোস্ট করে তাদের পার্থক্যই তুলে ধরতে চেয়েছেন।যদিও তৃণমূলের এই অভিযোগ মানতে চায়নি বিজেপি। আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য জানিয়েছেন, একটি টুডি ছবির সঙ্গে থ্রিডি স্থাপত্যের তুলনা করছেন বিরোধীরা।আর এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের সাফ কথা, সাধারণ মানুষ এত টেকনিকাল বিষয় বোঝেন না।সাধারণ চোখে যা দেখা যাচ্ছে তাতে মূল স্তম্ভটির সঙ্গে কোনওভাবেই মেলানো যাচ্ছে না সংসদের উপরে রাখা বিশালাকার স্তম্ভটিকে।

 

 

 

spot_img

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...