Monday, August 25, 2025

প্রকাশ্যে মোদির মিথ্যাচার, শুধু জ্বালানি তেল বেচে কেন্দ্রের আয় ১৬.৩০ লক্ষ কোটি টাকা

Date:

লাগাতার জ্বালানি তেলের(fuel oil) মূল্যবৃদ্ধির ঘটনার দায় আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতার দিকে ঠেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। পাশাপাশি তেলের মূল্যবৃদ্ধির দায় রাজ্য সরকারের উপর চাপাতেও ছাড়েননি তিনি। অথচ বাস্তব ছবিটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র জ্বালানি তেল বিক্রি করে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে ১৬.৩০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ তুলেছে মোদি সরকার। মোদি সরকারের এহেন মিথ্যাচার প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারের(Jawhar Sircar) এক প্রশ্নের উত্তরে।

সংসদে বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে তৃণমূল সাংসদ লিখিত প্রশ্ন করেন ভারত সরকার চলতি বছর সহ গত চার বছরে তেলের উপর কর, শুল্ক এবং অন্যান্য চার্জ মিলিয়ে প্রতি বছর কত আয় করেছে? তিনি আরও জানতে চান, গত পাঁচ বছরে আমদানি করা ক্রুড অয়েলের ব্যারেল প্রতি দাম কত এবং সেই অনুযায়ী রাজধানী দিল্লিতে গত পাঁচ বছরে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কত হয়েছে। তার উত্তরে সরকারের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে মুখ পুড়েছে মোদি সরকারের। প্রকাশ্যে চলে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার। দেখা যাচ্ছে, শুধুমাত্র জ্বালানি তেল বিক্রি করে চার বছরে সরকারি কোষাগারে জমা পড়েছে ১৬.৩০ লক্ষ কোটি টাকা। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বার্ষিক আয়কর ও জিএসটি আদায়ের চেয়ে অনেক বেশি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কীভাবে তেলের দাম লাগাতার বাড়িয়ে, দেশের মূল্যবৃদ্ধি ভয়ংকর অবস্থায় পৌঁছে দিয়ে দেশবাসীর কাছে ‘মিথ্যা’ আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে গিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি মূল্যবৃদ্ধির জন্য রাজ্য সরকারের কেন্দ্রীয় হারে সেস না ছাড়াকে দায়ী করেন কীভাবে?

এই কেন্দ্রীয় রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে মোদি সরকারকে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। তিনি জানান, “অবশেষে, কেন্দ্রীয় সরকার স্বীকার করেছে ৪ বছরে ১৬.৩০ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে তারা। এই অসাধারণ সংখ্যাটা বার্ষিক আয়কর বা জিএসটি সংগ্রহের চেয়ে বেশি। কেন্দ্রের আমদানি করা তেলের উচ্চ খরচ মুদ্রাস্ফীতিকেও বাড়িয়ে দিয়েছে।” এরপরই রীতিমতো তোপ দেগে তিনি প্রশ্ন ছোঁড়েন, “এরপরেও কীভাবে নিজেদের দায় এড়িয়ে মোদি সরকার মুদ্রাস্ফীতির জন্য রাজ্যগুলিকে দায়ী করতে পারে?”

আরও পড়ুন- ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে স্থায়ী নিয়োগ অনিশ্চিত! অগ্নিপথ মামলা শুনবে দিল্লি হাই কোর্ট

 

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...
Exit mobile version