অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। এই আবহে দুই জনের থেকেই তথ্য বের করতে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের আধিকারিকরা। তবে মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় নাকি তদন্তে সেভাবে সাহায্য করছেন না। তবে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নাকি মুখে খুলেছেন ইডির কাছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইডি কর্তাদের অর্পিতা বলেছেন, ‘আমার বাড়িকে মিনি-ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।’
এর আগে পার্থ ও অর্পিতার গ্রেফতারির আগে অর্পিতার ফ্ল্যাটে ‘টাকার পাহাড়ে’র ছবি ভাইরাল হয়েছিল। অর্পিতা জানিয়েছেন, এই টাকা একটি ঘরে তিনি রেখে দিতেন। সেই ঘরে শুধুমাত্র পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের লোকদেরই ঢোকার অনুমতি ছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রতি সপ্তাহ বা দশদিনে একবার করে তাঁর ফ্ল্যাটে আসতেন বলে জানান অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এদিকে অর্পিতা জানান, তাঁর বাড়ি ছাড়া আরও এক মহিলার বাড়িকে ‘মিনি-ব্যাঙ্ক’ হিসেবে ব্যবহার করতেন পার্থ চট্টোরপাধ্যায়। পাশাপাশি অর্পিতা দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোনও দিন তাঁকে এই কথা জানাননি যে তাঁর ফ্ল্যাটের সেই ঘরে কত টাকা রাখা। তদন্তকারীদের কাছে অর্পিতা জানান, ২০১৬ সালে এক বাঙালি অভিনেতা তাঁকে পার্থবাবুর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন। এদিকে অর্পিতা এও মেনে নেন যে তাঁর ফ্ল্যাটে থাকা এই নগদ টাকা বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেওয়া ঘুষ। এই সব স্বীকারোক্তির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরও বিপাকে পড়তে চলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে আজকে বেলঘড়িয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান ইডি কর্তারা। উদ্ধার হয়েছে ২০ কোটি টাকা, প্রচুর সম্পত্তির নথি, ৩ কেজি সোনা সহ নানা নথি।
