দেশের প্রত্যেক নাগরিকেরই পেশা অনুসারে মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা রয়েছে। তবে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো আইন ভাঙার ক্ষেত্রে কোনওরকম বিশেষ সুযোগসুবিধার দাবি করতে পারেন না কেউই। সম্প্রতি এক মামলায় এই বিষয়টি স্পষ্ট করল দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। ১৩ নাবালিকাকে পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। আর সেই মামলার শুনানিতেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি আশা মেনন নামে অভিযুক্ত এক যৌনকর্মীর (Sex Workers) অন্তর্বর্তীকালীন জামিন (Interim Bail) দিতে অস্বীকার করেন।

অভিযুক্ত যৌনকর্মীর মায়ের দু’টি হাঁটুতেই অস্ত্রোপচারের (Operation) কারণে আদালতের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে আবেদন জানান। আর এরপরই বিচারপতি (Justice) সাফ জানান, একজন যৌনকর্মীর সাধারণ নাগরিকের মতোই সমস্ত অধিকারের অধিকারিণী। কিন্তু যদি তিনি আইন লঙ্ঘন করেন, তা হলে তাঁর ক্ষেত্রেও একই ভাবে আইন প্রয়োগ হবে। আইনের অধীনে বিশেষ কোনও সুবিধা তিনি দাবি করতে পারেন না। বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে মানব পাচার এবং পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে নাবালিকা বিক্রি করার মতো অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। যা অত্যন্ত গুরুতর। তবে অভিযুক্ত অবশ্যই আদালতের সামনে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সমস্ত সুযোগ পাবেন। তবে তাঁর জামিন মঞ্জুর করা কোনমতেই সম্ভব নয়।
সরকার পক্ষের আইনজীবীও (Public Prosecutor) জামিন মঞ্জুরের বিরোধিতা করেন। তিনি জানান, পাচার হওয়া নাবালিকদের বাইরে বেরিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন অভিযুক্ত। এতে বিচার প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

স্বেচ্ছায় কেউ দেহ ব্যবসায় যুক্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। নেওয়া যাবে না কোনও আইনি পদক্ষেপও। সম্প্রতি এমনই গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)৷ আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতো যৌনকর্মীদেরও সম্মান এবং সমান নিরাপত্তা প্রাপ্য৷ শুধুমাত্র যৌনকর্মীর বয়স এবং তার এই পেশায় সম্মতি রয়েছে কি না, তা বিবেচনা করেই সবক্ষেত্রে সমান ভাবে আইনি পদক্ষেপ করতে হবে৷
