Thursday, August 28, 2025

একইসঙ্গে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ মা ও ছেলের, নজির গড়লেন কেরলের বিন্দু

Date:

শিক্ষার যে কোনও বয়স হয় না তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন কেরলের মল্লপুরমের (Malappuram) ৪২ বছর বয়সী বিন্দু। অনেক সময় দেখা যায় মা-বাবা নিজের স্বপ্নপূরণ করতে চান নিজেদের সন্তানের মাধ্যমে। কিন্তু এ যেন এক বিরল ঘটনা। ছেলের হাতে হাত রেখে একসঙ্গে স্বপ্নপূরণ করলেন মা সন্তানের হাতে হাত রেখে।

সম্প্রতি কেরল পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (Public Service Commission) পরীক্ষার নোটিস বের হলে কেরলের মল্লপুরমের বাসিন্দা ৪২ বছর বয়সী বিন্দু ও তাঁর ২৪ বছরের ছেলে বিবেক সিদ্ধান্ত নেন যে তিনিও পরীক্ষায় বসবেন। পরীক্ষায় বসার সমস্ত রকম যোগ্যতাও ছিল তাঁর। ফলে যেমন ভাবা তেমন কাজ। মা ও ছেলে একসঙ্গেই দেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা। কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে ফলাফল। আর তাতেই কেল্লাফতে। দেখা গিয়েছে ছেলে তো বটেই পরীক্ষাতে পাস করেছেন তাঁর মাও। র্যা ঙ্কিংয়ের নিরিখে ছেলে যেখানে ৩৮, আর মা ৯২। খুব শীঘ্রই সরকারি চাকরিতে যোগ দিতে চলেছেন মা-ছেলে জুটি।

অন্যান্য আর পাঁচটা শিশুর মতো ছোটবেলা (Childhood) থেকেই লেখাপড়ায় মন ছিল না ছেলের। তবে, কীভাবে লেখাপড়া ছেলের মন বসানো যায় সেই নিয়ে সবসময় চিন্তা করতেন মা। আর চিন্তা করতে করতেই একদিন মুশকিল আসান। লেখাপড়ায় আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এবার ছেলের সঙ্গে নিয়ম করে পড়তে বসতে শুরু করলেন মা। আর সেখান থেকেই শুরু পথ চলা। তারপর কেটে গিয়েছে বহু বছর। লেখাপড়া চালিয়ে এসেছেন মা ও ছেলে।

বিন্দুর কথায়, বিগত ১০ বছর ধরে একজন অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকা (Anganwadi Teacher) হিসাবে কাজ করছেন তিনি। সেই সঙ্গেই ছেলে যখন দশম শ্রেণীর ছাত্র তখন থেকেই নতুন করে পড়াশোনা শুরু করেন তিনি। একসঙ্গে নিতে শুরু করেন সরকারি চাকরির প্রস্তুতি এবং একসঙ্গেই একটি কোচিং সেন্টারেও ভর্তি হন। তবে প্রথম চেষ্টাতেই যে তারা সরকারি চাকরি পেয়েছেন তা একেবারেই নয়। বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পরে এসেছে এই সাফল্য। তিনি মনে করেন, কীভাবে কঠোর পরিশ্রম হাতেনাতে ফল দেয়, তিনিই তাঁর উদাহরণ।

বিন্দুর ছেলে বিবেক জানান, আমি ও মা কোচিংয়ের প্রস্তুতি একসঙ্গে নিতে গিয়েছিলাম। আমার মা আমাকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন। আমরা শিক্ষকদের থেকে অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমরা দুজনে একসঙ্গেই লেখাপড়া করেছি, কিন্তু কখনও ভাবিনি যে আমরা একসঙ্গেই পিএসসি পরীক্ষার যোগ্যতা অর্জন করব। আমরা দু’জনেই খুব খুশি।

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version