ফের রাজস্থানে অমানবিক চিত্র! প্রকাশ্যে শিক্ষিকার গায়ে আগুন, অধরা অভিযুক্ত

0
2

বাঁচার আর্তি নিয়ে ছটফট করছেন। প্রাণপণে চেষ্টা করছেন পুলিশকে ফোন করার। কিন্তু তবুও সাহায্যের হাত বাড়ালেন না কেউই। অথচ, যখন দুষ্কৃতীরা তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল, সেই দৃশ্য মোবাইলবন্দি করতে মানুষের উৎসাহের অভাব ছিল না।এ যেন শিউড়ে ওঠার মত ঘটনা। আর এই অমানবিক চিত্রটা রাজস্থানের। যেখানে কদিন আগেই দলিত ছাত্রকে পানীয় জলের পাত্র ছোঁয়ার অপরাধে শিক্ষকের মার খেতে হয়। এবার পালা শিক্ষিকার।

আরও পড়ুন:নির্ভয়ে শান্তিতে বাঁচার অধিকার ফিরিয়ে দাও আমায়: দোষীদের মুক্তির পর আর্জি বিলকিস বানোর

জয়পুরের রাইসার গ্রাম থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরে সকালবেলা ছেলের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছিলেন শিক্ষিকা অনিতা রেগার। আচমকাই তাঁর সামনে এসে পড়ে ছ’জন লোক।৩২ বছরের অনিতা স্থানীয় একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে পুলিশকে ফোন করেন। জানান, কোথায় আছেন। কী পরিস্থিতি। কিন্তু লাভ হয়নি। অভিযোগ, পুলিশ আসেনি যথাকালে। তার পরেই তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্তেরা।

পরে অনিতার স্বামী তারাচাঁদ পরিজনদের নিয়ে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। তবে ততক্ষণে পুড়ে গিয়েছে অনিতার শরীরের ৭০ শতাংশ। সেই অবস্থাতেই তাঁকে ভর্তি করানো হয় স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে। পরে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় জয়পুরের এসএমএস মেডিক্যাল কলেজে। হাসপাতালের সপ্তাহভর লড়াইয়ের শেষে, মঙ্গলবার রাতে অনিতার মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। তারাচাঁদ জানান, অভিযুক্তেরা তাঁদের আত্মীয়। গত ১২ আগস্ট রাজস্থান পুলিশের ডিজির সঙ্গে দেখা করেন তারাচাঁদ। তাঁর অভিযোগ, রাইসারের এসএইচও, এক এএসআই এবং এক পুলিশকর্মী অপরাধীদের সঙ্গে জড়িত। তাই পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

পুলিশ স্থানীয় মানুষজনকে পুড়িয়ে মারার ভিডিয়ো ইন্টারনেটে প্রকাশ করতে বারণ করেছিল। কিন্তু, অনিতার মৃত্যু খবর চাউর হতেই সেই ভিডিয়োও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছে পুলিশ।তাদের গাবি যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখছে তারা।