সোশ্যাল মিডিয়া ( social media) প্ল্যাটফর্ম-এর স্বাধীনতার অপব্যবহার। মনীষী থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদ, এমনকী বাংলার তথা দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) আপত্তিকর ভাষায় আক্রমন করেন রোদ্দুর রায় (Roddur Roy) ওরফে অনির্বান। ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগও রয়েছে রোদ্দুরের বিরুদ্ধে। এতটাই বেয়াদপ এই অসভ্য ইউটিউবার যে, রবীন্দ্রনাথের গানকে নিয়ে নোংরা প্যারোডি করেছেন। নেতাজিকেও অপমান করতে ছাড়েননি। পয়সা রোজগার ও সস্তায় নেগেটিভ জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social media) অসভ্যতামির সীমা ছাড়িয়েছেন।

রোদ্দুর রায়ের ভূমিকা বা আচরণ একটি সভ্য সমাজের পক্ষে বিপদজনক। রোদ্দুরের উস্কানি ও প্ররোচনামূলক বক্তব্য সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। সেই জায়গা থেকে এই অসভ্য ইউটিউবার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল একাধিক থানায়। লাগাতার কুরুচিকর মন্তব্য করায় গ্রেফতারও হয়েছিলেন রোদ্দুর রায়। বেশকিছুদিন তাঁকে শ্রীঘরে কাটাতে হয়েছিল। পরে অবশ্য শর্তসাপেক্ষে জামিনে রোদ্দুরকে মুক্তি দেয় আদালত।

গত ৭ জুন গোয়া থেকে রোদ্দুরকে গ্রেফতার করে আনে কলকাতা পুলিশ। টানা ২০ দিন হেফাজতে থাকার পর ২৭ জুন জামিন পান রোদ্দুর। তবে জামিন পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া সব এফআইআর বাতিলের আবেদন করে মামলা করেছিলেন রোদ্দুর। কলকাতা হাইকোর্টে হওয়া সেই মামলায় রোদ্দুরের এফআইআর বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিলেন বিচারপতি। আজ, বৃহস্পতিবার তিনি প্রশ্ন তোলেন নিম্ন আদালতে এফআইআর বাতিলের আবেদন খারিজের পর বিচারককে পার্টি করে দেওয়া হল! এখন সিঙ্গল বেঞ্চ আবেদন খারিজ করলে যদি ডিভিশন বেঞ্চে যদি মামলা হয় তাহলে কি সিঙ্গল বেঞ্চকেও পার্টি করে দেওয়া হবে! প্রসঙ্গত, এদিন রোদ্দুর রায়ের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না।

উল্লেখ্য, জামিন পেয়েই তিনি শিল্পীর স্বাধীনতার যুক্তি দিয়ে এফআইআর বাতিল করার আবেদন করেন। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে উসকানি দেওয়া, জাতিগত, ভাষাগত সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা বাধানো। রোদ্দুর রায়ের এখনও দাবি, তিনি অপরাধী নন, রাজনীতির শিকার।
