EZCC-তে বিজেপির দুর্গাপুজোর বিপুল টাকার উৎস কী? তদন্ত চাইলেন কুণাল

বিজেপির প্রথম বছর দুর্গাপুজোর জন্য যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়েছিল, তার সিংহভাগ মিটিয়েছে কেন্দ্রের সংস্কৃতি দফতর! যা আইনত বা নৈতিকভাবে করা যায় না

ঋণের বোঝায় জর্জরিত রাজ্য সরকার। বারে বারে দরবার করলেও কেন্দ্র ন্যায্য বকেয়া মেটাচ্ছে না। ১০০দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। রাজকোষ যখন রুগ্ন, তখন ঘটা করে কেন পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? যেখানে রাজ্যের কোষাগার থেকে খরচ হবে প্রায় ৩০০কোটির কাছাকাছি। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। যেখানে বিজেপি ও বিরোধীদের প্রচ্ছন্ন মদন রয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।

আরও পড়ুন: আতঙ্ক কাটছে না বাগদার গণধ*র্ষিতা মহিলার শিশু সন্তানের

ঠিক সেই জায়গা থেকে পাল্টা দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ২০২০ সালে EZCC (ইস্টার্ন জোনাল কালচারাল সেন্টার)-তে বিজেপির দুর্গাপুজোর জন্য যে বিপুল টাকা খরচ হয়েছে, তার উৎস ফাঁস হয়েছে। ফাঁস করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তখন তিনি বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি ছিলেন। তাই বিষয়টি তাঁর সবটাই জানা। জয়প্রকাশবাবুর কথায়, ২০২০ সালে বিজেপি লোকদেখানো দুর্গাপুজো শুরু করে। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নামেই এই পুজোর সংকল্প। কিন্তু কোথায় হবে পুজো? বেছে নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্কৃতি দফতরের অধীনে থাকা সল্টলেকের EZCC-কে। কিন্তু EZCC কী কোনও রাজনৈতিক দলের ধর্মীয় কর্মসূচির জন্য জায়গা দিতে পারে? বিতর্ক এড়াতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দিয়ে করোনা আবহে ভার্চুয়াল উদ্বোধন করা হয় বঙ্গ বিজেপির দুর্গাপুজো। ব্যাস, কর্তার ইচ্ছায় কর্ম! এখানেই শেষ নয়, বিজেপির দুর্গাপুজোর জন্য বিপুল ফান্ডিং করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি দফতরের কোষাগার থেকে। মানুষের ট্যাক্সের টাকায় কীভাবে বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের পুজোকে ফান্ডিং করা যায়, তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

বিষয়টি সামনে আসতেই তা নিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন,
“EZCC বিজেপির দুর্গাপুজোর সমস্ত খরচ তদন্ত করে দেখা উচিত। হল ভাড়া করে পুজো। বিজেপির নিজের পুজো। সেখানে কেন্দ্র কেন ফান্ডিং করবে? অবিলম্বে বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। বাংলার অনুদান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কিন্তু পার্টির পুজোয় ফান্ডিং করছে কেন্দ্র। বাংলার
ক্লাবগুলির পুজো অনুদানের সঙ্গে একটি আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির সম্পর্ক আছে। কিন্তু বিজেপির পুজোয় কেন ফান্ডিং করবে কেদ্রীয় সরকার?”

Previous articleআতঙ্ক কাটছে না বাগদার গণধ*র্ষিতা মহিলার শিশু সন্তানের
Next articleমাত্র কয়েক সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে যাবে গগনচুম্বী অট্টালিকা