Friday, November 7, 2025

ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি মোহন-ইস্ট, ডানকুনিতে দেখা গেল ‘রেষারেষির’ ছবি

Date:

দীর্ঘ ৩ বছরের অপেক্ষা শেষে রবিবাসরীয় সন্ধেতে শহর কলকাতায় ফিরছে আবেগ ও ঐতিহ্যের ডার্বি (Derby Match)। আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuba Bharati Krirangan) মুখোমুখি হতে চলেছে ময়দানের চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। রবিবার সন্ধেয় ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ম্যাচ ঘিরে রীতিমতো সরগরম কলকাতা তথা গোটা রাজ্য। প্রতিপক্ষকে সহজে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ দুদলেরই ফুটবলাররা। ইতিমধ্যে যুবভারতীতে এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ময়দানের দুই প্রধানের সমর্থকরা।

এদিন শহর কলকাতার পাশাপাশি ডার্বি জ্বরে (Derby Fever) কাঁপছে ডানকুনির (Dankuni) কালীপুর পূর্বাসা এলাকাও। রবিবার ওই এলাকায় দেখা গেল চরম রেষারেষির ছবি। একই পাড়ার বাসিন্দা হলেও ডার্বির দিনটা আর পাঁচটা সাধারণ দিনের থেকে যে একটু হলেও আলাদা তা স্পষ্ট। মাঠের ভিতরের ৯০ মিনিট শুধু নয়, মাঠের বাইরেও দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে রেশ থাকে ম্যাচের। একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান, টিপ্পনিতে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। তবে ডার্বির দিনের ছবিটা একটু হলেও ভিন্ন। কেউ জপছেন ইষ্ট নাম, আবার কেউ কেউ নিজেদের দলের সাফল্য কামনা করে ভগবানের কাছে রাখছেন ব্রতও। ডানকুনির পূর্বাশা এলাকায় তেমনই ছবি ধরা পড়লো। এই পাড়াতেই একদিকে থাকেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক তন্ময় ভৌমিক এবং অপরদিকেই থাকেন মোহনবাগান সমর্থক অভিজিৎ দত্ত। প্রিয় ক্লাবের পতাকার রঙে সেজে উঠেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সমর্থকদের বাড়ি। বাড়িতে দেওয়ালের রং থেকে শুরু করে জলের ট্যা ঙ্ক, এমনকি বাড়ির জানলার পর্দার রঙেও প্রিয় ক্লাবের ছোঁয়া। একটু আলাদা স্কিলে বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার কোনরকম সুযোগই ছাড়তে নারাজ দুই পক্ষের সমর্থকরা।

এদিন সকাল থেকে তন্ময়ের বাড়িতে রান্না হয়েছে ইলিশের একাধিক পদ। ভাজা, সর্ষে বা ভাপা ইলিশ সবকিছুই আছে মেনুতে। আজ দিনটা তন্ময়ের কাছে শুধুই লাল হলুদ আর ইলিশ। অন্য কোনও দিকেই মন নেই ডানকুনির বাসিন্দার। বাড়িতে বসে নয়, খেলা দেখতে বেলাবেলি যুবভারতীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তন্ময়। তবে ছেলে মাঠে খেলা দেখতে গেলেও পরিবার ঘরে বসে টিভিতে নজর রাখবেন। অন্যদিকে অভিজিৎও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। সকাল সকাল বাজারে গিয়ে বড় সাইজের চিংড়ি নিয়ে এসেছেন তিনি। বাড়িতে লাঞ্চের মেনুতে স্বভাবতই জায়গা করে নিয়েছে চিংড়ির মালাইকারী। তবে বড় ম্যাচের উত্তেজনায় বাড়িতে বসে থাকতে না পেরে দুপুরেই সল্টলেকের যুবভারতীতে পৌঁছে গেছেন অভিজিৎ।

 

Related articles

দুর্যোগ পরিস্থিতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

ভয়াবহ দুর্যোগ পেরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়ানোর পর্যায়ে উত্তরবঙ্গ। রাজ্য প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের লাগাতার পরিষেবা ও পদক্ষেপে যোগাযোগ...

তালিকায় নাম নেই! কেউ স্ত্রীর জন্য, কেউবা বিএলও-র সামনেই প্রাণ দিলেন

রাজ্যের হাজার হাজার মানুষের নাম নেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় আতঙ্কে কেউ আত্মঘাতী, কেউবা...

শিলিগুড়িতে উৎসবের মেজাজেই সোনার মেয়েকে বরণ, নিজের অনুভূতির কথা জানালেন আপ্লুত রিচা

বিগত কয়েক বছর ধরেই পুরুষ এবং মহিলা ক্রিকেটের মধ্যে ব্যবধান একটু একটু কমছে। আইসিসি বিশ্বকাপ জিতে ভারতীয় ক্রিকেটেই...

পথশ্রী প্রকল্প বেনিয়ম বরদাস্ত নয়: স্পষ্ট নির্দেশ মুখ্যসচিবের

পথশ্রী প্রকল্পের অধীনে গ্রামীণ রাস্তাগুলির মান বজায় রাখতে জেলা প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ। শুক্রবার...
Exit mobile version