Monday, August 25, 2025

ডুরান্ড কাপে মুখোমুখি মোহন-ইস্ট, ডানকুনিতে দেখা গেল ‘রেষারেষির’ ছবি

Date:

দীর্ঘ ৩ বছরের অপেক্ষা শেষে রবিবাসরীয় সন্ধেতে শহর কলকাতায় ফিরছে আবেগ ও ঐতিহ্যের ডার্বি (Derby Match)। আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা। তারপরই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে (Yuba Bharati Krirangan) মুখোমুখি হতে চলেছে ময়দানের চির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan) ও ইস্টবেঙ্গল (Emami East Bengal)। রবিবার সন্ধেয় ডুরান্ড কাপের (Durand Cup) ম্যাচ ঘিরে রীতিমতো সরগরম কলকাতা তথা গোটা রাজ্য। প্রতিপক্ষকে সহজে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ দুদলেরই ফুটবলাররা। ইতিমধ্যে যুবভারতীতে এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ময়দানের দুই প্রধানের সমর্থকরা।

এদিন শহর কলকাতার পাশাপাশি ডার্বি জ্বরে (Derby Fever) কাঁপছে ডানকুনির (Dankuni) কালীপুর পূর্বাসা এলাকাও। রবিবার ওই এলাকায় দেখা গেল চরম রেষারেষির ছবি। একই পাড়ার বাসিন্দা হলেও ডার্বির দিনটা আর পাঁচটা সাধারণ দিনের থেকে যে একটু হলেও আলাদা তা স্পষ্ট। মাঠের ভিতরের ৯০ মিনিট শুধু নয়, মাঠের বাইরেও দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে রেশ থাকে ম্যাচের। একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান, টিপ্পনিতে সরগরম হয়ে ওঠে এলাকা। তবে ডার্বির দিনের ছবিটা একটু হলেও ভিন্ন। কেউ জপছেন ইষ্ট নাম, আবার কেউ কেউ নিজেদের দলের সাফল্য কামনা করে ভগবানের কাছে রাখছেন ব্রতও। ডানকুনির পূর্বাশা এলাকায় তেমনই ছবি ধরা পড়লো। এই পাড়াতেই একদিকে থাকেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থক তন্ময় ভৌমিক এবং অপরদিকেই থাকেন মোহনবাগান সমর্থক অভিজিৎ দত্ত। প্রিয় ক্লাবের পতাকার রঙে সেজে উঠেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের সমর্থকদের বাড়ি। বাড়িতে দেওয়ালের রং থেকে শুরু করে জলের ট্যা ঙ্ক, এমনকি বাড়ির জানলার পর্দার রঙেও প্রিয় ক্লাবের ছোঁয়া। একটু আলাদা স্কিলে বিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করার কোনরকম সুযোগই ছাড়তে নারাজ দুই পক্ষের সমর্থকরা।

এদিন সকাল থেকে তন্ময়ের বাড়িতে রান্না হয়েছে ইলিশের একাধিক পদ। ভাজা, সর্ষে বা ভাপা ইলিশ সবকিছুই আছে মেনুতে। আজ দিনটা তন্ময়ের কাছে শুধুই লাল হলুদ আর ইলিশ। অন্য কোনও দিকেই মন নেই ডানকুনির বাসিন্দার। বাড়িতে বসে নয়, খেলা দেখতে বেলাবেলি যুবভারতীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন তন্ময়। তবে ছেলে মাঠে খেলা দেখতে গেলেও পরিবার ঘরে বসে টিভিতে নজর রাখবেন। অন্যদিকে অভিজিৎও এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। সকাল সকাল বাজারে গিয়ে বড় সাইজের চিংড়ি নিয়ে এসেছেন তিনি। বাড়িতে লাঞ্চের মেনুতে স্বভাবতই জায়গা করে নিয়েছে চিংড়ির মালাইকারী। তবে বড় ম্যাচের উত্তেজনায় বাড়িতে বসে থাকতে না পেরে দুপুরেই সল্টলেকের যুবভারতীতে পৌঁছে গেছেন অভিজিৎ।

 

Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...
Exit mobile version