Friday, August 22, 2025

ফের প্রকাশ্যে “কামিনী-কাঞ্চন”-এ আসক্ত কৈলাসের কেলেঙ্কারি

Date:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে “জ়িরো টলারেন্স” নীতির কথা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, সেই সময়েই তাঁর দলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতি চাপা দিতে তৎপরতা দেখাচ্ছে বিজেপি পরিচালিত ডাবল ইঞ্জিন মধ্যপ্রদেশ সরকার। ফের একবার প্রকাশ্যে এসেছে কৈলাসের কেলেঙ্কারি।

ইন্দোরের মেয়র থাকাকালীন বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের বিরুদ্ধে। বিশেষ আদালতে এই মামলার পরেও শুধুমাত্র দলীয় নেতার কেলেঙ্কারি আড়াল করতে ১৭ বছর মধ্যপ্রদেশ সরকার কৈলাসের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তদন্ত শুরুরও অনুমোদন দেয়নি। মামলাকারী আইনজীবী কে কে মিশ্র এখন কৈলাসের কেলেঙ্কারির অভিযোগ নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ইন্দোর বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের আড়াল করতে তৎপর বিজেপি সরকার। এর পরেও প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেন!”

২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইন্দোরের মেয়র ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তখন গরিব, প্রতিবন্ধী ও অনাথদের নামে পেনশনের একটি প্রকল্প চালু করেন তিনি। খোলা চোখে কৈলাসের এমন উদ্যোগ মহৎ মনে হলেও, এর পিছনে ছিল বৃহত্তর ষড়যন্ত্র। বাস্তবে দেখা যায়, যাদের পেনশন পাওয়ার কথা তাঁরা বঞ্চিত। আর অস্তিত্বহীন লোকেদের নামে বড় একটা অঙ্কের টাকা বিলি হয়েছে। আবার কারও টাকা সই নকল করে অন্য কেউ তুলে নিয়ে গিয়েছে। এভাবে পুরসভার ৩৩ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। যার সঙ্গে তৎকালীন মেয়র কৈলাস বিজয়বর্গীয় সরাসরি যুক্ত বলে অভিযোগ।

দুর্নীতির উদ্দেশ্য নিয়েই যে কৈলাস এমন একটি প্রকল্প চালু করেছিলেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নয়, একটি সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পেনশনের টাকা বিলি করতো ইন্দোর পুরসভা। পেনশন কেলেঙ্কারির তদন্ত চেয়ে ইন্দোরের এমএলএ-এমপি দের জন্য বিশেষ আদালতে মামলা হয়। মেয়রের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু ১৭ বছর ধরে তা ঝুলিয়ে রাখে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার।

এই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে থেকে বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে তিনি সংগঠনের কাজে নজরদারি থেকে রঙিন জীবনযাত্রার জন্য বেশি পরিচিত ছিলেন বাংলায়। কৈলাসের বিরুদ্ধে তাঁর দলেরই প্রবীণ নেতা তথাগত রায় “কামিনী-কাঞ্চন”-এ আসক্তির অভিযোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:করম পূজোয় পূর্ণ দিবস ছুটির দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ আদিবাসী সংগঠনের

 

 

Related articles

ইমান বেচলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী: শিখ সম্প্রদায়ের অপমানে নীরব রবনিতকে প্রশ্ন তৃণমূলের

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনিত সিং বিট্টু  শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের সম্মানকে বাংলার বিজেপি নেতাদের সামনে বিক্রি করে দিলেন। নরেন্দ্র মোদির...

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকের মেধাতালিকা প্রকাশ, শুরু হচ্ছে ভর্তি: জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

আইনি জটিলতা কাটিয়ে স্নাতকস্তরে প্রকাশিত হল অনলাইনে পোর্টালে ভর্তির ফলাফল। শুক্রবার ফল (Result) প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তি প্রক্রিয়া...

কিছু হাই কোর্টের বিচারপতির কর্তব্যবোধ কম পড়ছে: মত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

একাধিক হাই কোর্টের বিচারপতিদের স্বরূপ বাংলায় অনেক আগেই খুলে গিয়েছে, যখন হাই কোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে...

মোদিজি আসুন বাংলার উন্নয়ন দেখে যান: কটাক্ষ চন্দ্রিমার

“ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে আবার আসতে শুরু করেছেন। এবার থেমে থাকুন দাদা।“ নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া...
Exit mobile version