Sunday, August 24, 2025

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় হলফনামা তলব কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। যাঁদের বিরুদ্ধে সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগ তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে সেই হলফনামা দিতে হবে। মঙ্গলবার, এই নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। ১১ নভেম্বরের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলাকারীকে ২ সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দিতে হবে। ২৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

২৯ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banarjee) পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মামলা করেন অরিজিৎ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। কীভাবে সম্পত্তির পরিমাণ এত বাড়ল সেই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে ওইদিন মেয়ো রোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজকে আমাকে একজন বলছে আপনার অনেক সম্পত্তি বেড়েছে সঙ্গে আপনার পরিবারেরও।“ এরপরেই, নিজের আয়ের খতিয়ান দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। “আমি এক পয়সাও নিই না। আমি যা টাকা পেতাম একটাও টাকা নিইনি। আমি ১ লক্ষ টাকা করে পেনশন ১২ বছর ধরে নিই না, হিসেব করে দেখুন কত টাকা হয়! ৯১ সালের পর থেকে আমি কখনও এক্সিকিউটিভ ক্লাসে চড়িনি।“ নিজের লেখা প্রসঙ্গে বলেন, “আমার বই লেখা নিয়েও অসভ্যতামি চালাচ্ছে। বইমেলায় গিয়ে দেখো কার বই বেস্ট সেলার? ১০০০ কবিতার বই লিখে দেখান। আমি রাজনীতিতে এসেছিলাম সমাজসেবা করব বলে” তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা ভাই-বোনেরা সবাই আলাদা আলাদা থাকি। যে যার পরিবার নিয়ে। কখনও-সখনও দেখা হয়। উৎসবের মরসুমের সময় আমাদের যোগাযোগ হয়। রাখিবন্ধনের সময়। কালীপুজোর সময়।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, ”ওগুলো কি আমার সম্পত্তি? আমরা সবাই আলাদা আলাদা পরিবার। মায়ের দায়িত্ব ছিল আমার। সকলের পরবর্তী প্রজন্ম হয়েছে, তারা উপার্জন করেছে। আমার তো সব ডকুমেন্ট দেওয়াই আছে।”

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version