পুজো মাটি করতে নবান্ন অভিযানে ভয়ঙ্কর হিংসা-অশান্তির ব্লু-প্রিন্ট বানিয়েছে শুভেন্দু

নিরীহ কর্মী-সমর্থকদের সামনে রেখে হিংসা-অশান্তি ব্লু-প্রিন্ট তৈরি শুভেন্দুর মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই অসমর্থিত সূত্রে খবর। নবান্ন অভিযানে মহিলা কর্মী-সমর্থকদের ঢাল ঢাল বানিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে প্ররোচনা দেওয়ার নকশাও নাকি তৈরি করে ফেলেছে শুভেন্দু

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে পুজোর আগে রাজ্যে তুমুল অশান্তির ছক কোষেছে বিজেপি। ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে তুমুল হিংসার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। দিল্লির নেতাদের কাছে নম্বর বাড়াতে শান্ত ও উৎসবের বাংলাতে আগুন লাগানোর মরিয়া চেষ্টা করছে শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদাররা। নবান্ন অভিযানের কর্মসূচির আড়ালে ১৩ তারিখ কলকাতা এবং হাওড়ায় বড়সড় হাঙ্গামার জন্য তৈরি হচ্ছে তারা। তবে গেরুয়া শিবিরের এই ছক ধরা পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নবান্নে বিজেপির জঙ্গিপনার পরিকল্পনার গোয়েন্দা রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

নিরীহ কর্মী-সমর্থকদের সামনে রেখে হিংসা-অশান্তি ব্লু-প্রিন্ট তৈরি শুভেন্দুর মস্তিষ্কপ্রসূত বলেই অসমর্থিত সূত্রে খবর। নবান্ন অভিযানে মহিলা কর্মী-সমর্থকদের ঢাল ঢাল বানিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনকে প্ররোচনা দেওয়ার নকশাও নাকি তৈরি করে ফেলেছে শুভেন্দু। তাঁর শিবিরের নেতারা চাইছে নবান্ন অভিযান এতটাই জঙ্গিপনা হোক, যাতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। পুজোর আগে পুলিশের গুলিতে কারও মৃত্যু হলে সেই ফসল গোটা রাজ্যজুড়ে তুলতে চান শুভেন্দু। পুজোটাও মাটি করে দেওয়া যাবে। ইউনেস্কোর চোখে বাংলাকে খাটো করা যাবে। যদিও আদি বিজেপির একটি বড় অংশ শুভেন্দুর সঙ্গে সহমত নয়। পুজোর আগে সাধারণ কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক অভিযানে কোনও হিংসা চাইছে না বঙ্গ বিজেপির শুভেন্দু বিরোধী শিবির।

তবে শুভেন্দুর এই হিংসা-অশান্তি ব্লু-প্রিন্টের পাল্টা রণকৌশল সাজাচ্ছে রাজ্য প্রশাসনও। যাতে কোনওভাবে
হাঙ্গামা বাধানোর চেষ্টা চালাতে না পারে তার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পুলিশও। কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে সুকৌশলে নবান্ন অভিযানে বিজেপির জঙ্গি আন্দোলন ঠেকানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশও।

বিজেপি সূত্রে খবর, নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে তিন প্রধান নেতা কোন মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন তা চূড়ান্ত হয়েছে। জানা যাচ্ছে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার থাকবেন হাওড়া ময়দানে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থাকবেন সাঁতরাগাছিতে এবং সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ থাকবেন কলেজ স্কোয়ার মিছিলের নেতৃত্বে।

হাওড়া ময়দানের দায়িত্বে থাকবেন সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিং, জেলা সভাপতি মনিমোহন ভট্টাচার্য। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গেই থাকবেন সাংসদ এস.এস. আলুওয়ালিয়া, সাংসদ সুভাষ সরকাররা। সাঁতরাগাছির দায়িত্বে থাকবেন, বিধায়ক বিমান ঘোষ, জেলা সভাপতি, অরুণ চৌধুরী, বিধায়ক লক্ষণ ঘোরুই। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকবেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, যুব মোর্চার সভাপতি ইন্দ্রনীল খাঁ। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে থাকবেন কলকাতা নেতৃত্ব। দুই ২৪ পরগনা থেকে আসা কর্মী-সমর্থকরা দিলীপবাবুর সঙ্গেই অভিযান করবেন।

বছর ঘুরলেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই যতটা বেশি সম্ভব গ্রামাঞ্চলের মানুষকে নবান্ন অভিযানে যুক্ত করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।

আরও পড়ুন:আনিস খানের ভাইয়ের উপর হামলা, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে সলমান

 

 

Previous articleআনিস খানের ভাইয়ের উপর হামলা, আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে সলমান
Next articleআজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে