মিডিয়া থেকে বিচার বিভাগ,সবেতেই চাপ দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর: সুব্রহ্মণ্যম স্বামী

গণতন্ত্রের চার স্তম্ভের ওপর চাপ দিচ্ছে মোদি সরকার। এই নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এবার সরাসরি সেই অভিযোগ উঠলো বিজেপির ভেতর থেকেই। প্রবীণ বিজেপি নেতা এবং রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী একটি টুইটে মোদি সরকারকে নিশানা করে বলেন, দেশে সংবিধানের চার স্তম্ভের ওপর চাপ রয়েছে। এর জন্য কিছু করতে হবে।

আরও পড়ুন:অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধি! আইপিএস দেবাশিস ধর ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সুদীপ্তর বাড়িতে CID

সুব্রহ্মণ্যম স্বামী তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, “নিঃসন্দেহে সংবিধানের চারটি স্তম্ভ ২০১৭ সাল থেকে ক্রমাগত চাপের মধ্যে রয়েছে। সংবাদপত্র ও টিভির মতো ইংরেজি গণমাধ্যমগুলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের চাপে রয়েছে। বিচার ব্যবস্থার উপর চাপ রয়েছে সরকারের আইন কর্মকর্তাদের । শোষণ হচ্ছে ব্যাপক হারে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের শীঘ্রই কিছু করতে হবে।” পাশপাশি তিনি এও বলেন, ‘সরকার প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার উপর পাহারা দিচ্ছে। তারা প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে আসা নির্দেশে কাজ করছে।’

তবে এই প্রথমবার নয়,এর আগেও একাধিকবার মোদিকে নিশানা করেছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। কেন্দ্রীয় নীতিগুলিরও সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এর আগে তিনি দলীয় সংগঠনের পদাধিকারী নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। আসলে, ১৭ আগস্ট বিজেপি তার সংসদীয় বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি ঘোষণা করেছে। এতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করিকে সংসদীয় বোর্ডের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে দল। এ প্রসঙ্গে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছিলেন যে দলের প্রতিটি পদের সদস্যরা মোদির অনুমোদন নিয়ে নির্বাচিত হন। একটি টুইটে তিনি লিখেছেন, “জনতা পার্টি এবং তারপরে বিজেপির প্রথম দিকে, সংসদীয় বোর্ড দ্বারা সংগঠনের পদের নির্বাচন করা হয়েছিল এবং এটি দলের গঠনতন্ত্রেরও দাবি। কিন্তু এখন বিজেপিতে নির্বাচন নেই। মোদির  অনুমোদন নিয়ে প্রতিটি পদের জন্য সদস্য মনোনীত করা হয়।”