সরকারের সমালোচনার শাস্তি, কাশ্মীরে চাকরি গেল সাংবাদিকের স্ত্রীর !

একাধিকবার পেয়েছেন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি। কখনও কখনও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন যে তিনি যা লিখেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে পুলিশের কাছে। কিন্তু তারপরও থামেনি তার কলম, থামেনি সরকারের বিরুদ্ধে তার লেখালিখি। আর তারই শাস্তি স্বরূপ তাকে বাগে আনতে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো তার স্ত্রী মাশরাফ ইউসুফকে।

জম্মু ও কাশ্মীরকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করার পর থেকেই সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন কাজের সমালোচনায় সরব হয়েছেন সাংবাদিক পীরজাদা আশিক। বারবার তাকে পুলিশ ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। একাধিকবার পেয়েছেন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি। কখনও কখনও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন যে তিনি যা লিখেছেন তার ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে পুলিশের কাছে। কিন্তু তারপরও থামেনি তার কলম, থামেনি সরকারের বিরুদ্ধে তার লেখালিখি। আর তারই শাস্তি স্বরূপ তাকে বাগে আনতে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হলো তার স্ত্রী মাশরাফ ইউসুফকে।
এমনই অভিযোগ উঠেছে কাশ্মীর প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ওই সাংবাদিকের স্ত্রী মাশরাফ ২০১১ সাল থেকে শ্রীনগর পুরসভায় মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। এত বছরের পুরনো কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপরই সমালোচনা শুরু হয়েছে গোটা কাশ্মীর জুড়ে।
দেশদ্রোহিতার অপরাধে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার ইতিমধ্যেই ৩০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। ২০২০ সালের জুলাইয়ে এই নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটির কাজই হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও সরকারি কর্মী দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছেন কিনা তা নজরে রাখা। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাহলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে চাকরি থেকে সরানোর প্রস্তাবও সরকারের কাছে পৌঁছে দেয় এই কমিটি।