Theatre in Tram: কলকাতার বুকে অভিনব কান্ড, এবার নাটক চলন্ত ট্রামে!

এই নাটক শুরু হবে টালিগঞ্জের ট্রাম ডিপো থেকে। দর্শক আসবেন, তাঁদের ট্রামে বসে চা খাওয়ানো হবে। ট্রাম চলতে শুরু করবে। টালিগঞ্জ মেট্রোর সামনে থামবে। চরিত্ররা উপস্থিত হবেন আর শুরু হবে অভিনয়। এ ভাবে নাটক চলতে থাকবে।

কলকাতার (Kolkata) মানুষকে নতুন ধরনের বিনোদন উপহার দিতে অভিনব ভাবনা নিয়েছে নাট্যদল ‘সম্পর্ক’ (Samparka)। আড়াই বছর ধরে তিন তিল করে যে স্বপ্ন দেখা, এবার তার বাস্তব রূপ প্রতিফলিত হবে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী চলন্ত ট্রামে(Running Tram)। এবার শহরবাসী নাটক(Theatre) দেখবেন রাজপথে ঘুরে ঘুরে। কারণ নাটকের মঞ্চ কোনও অডিটোরিয়াম বা রাস্তার ধারের স্টেজ নয়, এবার নাটক হবে। আগামী ২৫ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর এমনই অভিনব ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে মহানগরী।

সাইট স্পেসিফিক থিয়েটার (Site Specific Theatre) নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে অনেকদিনের, জানালেন নাটকের লেখক এবং পরিচালক জিতাদিত্য চক্রবর্তী (Jitaditya Chakraborty) । নাটকের নাম ‘উড়ো চিঠি’ (Uro Chithi)। এখানে চলন্ত ট্রামও এক জীবন্ত চরিত্র বটে। যে জায়গায় নাটক তাকে নিয়ে গল্প বলা। এই নাটক শুরু হবে টালিগঞ্জের ট্রাম ডিপো থেকে। দর্শক আসবেন, তাঁদের ট্রামে বসে চা খাওয়ানো হবে। ট্রাম চলতে শুরু করবে। টালিগঞ্জ মেট্রোর সামনে থামবে। চরিত্ররা উপস্থিত হবেন আর শুরু হবে অভিনয়। এ ভাবে নাটক চলতে থাকবে। বিভিন্ন জায়গায় ট্রাম থামবে, কিছু মানুষ নামবেন আবার কিছু মানুষ উঠবেন। প্রত্যেকেই নাটকের চরিত্র এভাবেই চরিত্র , গল্প আর ট্রাম একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। কিন্তু পুজোর মুখে কলকাতা ট্রাফিক জ্যামে ট্রাম আটকে গেলে কী হবে? পরিচালক বলছেন চিন্তা নেই তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা আছে নাট্য দলের বিভিন্ন কর্মীরা বাইক নিয়ে আশেপাশেই থাকবেন। প্রয়োজনমতো অভিনেতাদের ট্রামে পৌঁছে দেবেন।নাটকটির আনুমানিক সময় এক ঘণ্টা à§§à§« মিনিট। ট্রামের দ্বিতীয় কামরায় ৩০ জন দর্শক থাকবেন। প্রথম কামরা থেকে আবহ এবং আলো দেওয়া হবে। নাটকটির সঙ্গীত এবং আবহ করেছেন দেবদীপ মুখোপাধ্যায়। মোট ন’জন অভিনেতা রয়েছেন নাটকটিতে। একাডেমীর সামনে বিশাল বড় এক ফ্লেক্সে ট্রাম নম্বর লেখা রয়েছে, আপ ১২৩৪৫৬ এবং ডাউন ৬৫৪৩২১। তারিখ ২৫ এবং ২৬ সেপ্টেম্বর। কলকাতার বুকে চলন্ত ট্রামে নাটক!