সহজেই ঘুরে আসুন মহাকাশে,ভারতের পর পর্যটন ব্যবসার ভাবনা চিনের

বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেছিলেন এলন মাস্ক, জেফ বেজসের মতো ধন কুবেররা। মাসকয়েক আগে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও জানিয়েছিল,মহাকাশ পর্যটন নিয়ে তাঁরাও ভাবনাচিন্তা করছে। এবার সেই পথে হাঁটল চিনও। চিন মহাকাশ যাত্রীদের জন্য প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করার মিশন নিয়ে কাজ করছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে এই মিশনটি চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে সেনাঘাঁটি সরিয়ে নিচ্ছে চিন

চিনা মহাকাশ পর্যটন প্রকল্প ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে এবং ক্রমেই এর পরিধি বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন ইয়াং ইকিয়াং। প্রসঙ্গত, ইয়াং ২০১৮ সালে ‘লং মার্চ ১১’ রকেট প্রকল্পের সাধারণ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।ইয়াং জানান, একবারে ৭ জন যাত্রী ১০ মিনিটের এই যাত্রায় যেতে পারবেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিমি উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে তাদের। তবে এই যাত্রার জন্য শারীরিক ভাবে উপযুক্ত হতে হবে বলে জানান তিনি। ইয়াংয়ের কোম্পানি ইতিমধ্যে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্রাভেল কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বলে জানা গিয়েছে। যাত্রীদের মহাকাশে পাঠানোর আগে বেশ কয়েকটি মানবহীন পরীক্ষামূলক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। পরের বছর থেকেই এই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

তবে, এ ভ্রমণ বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। এতদিন যেখানে মহাকাশচারীরা যেতে পারতেন, সেই মহাকাশ ঘুরতে হলে আপনার পকেট থেকে খসবে লক্ষাধিক টাকা। জানা গেছে, মাথাপিছু খরচ পড়বে ২ লক্ষ ৮৭ হাজার ডলার থেকে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার। চিনা টাকায় যা দুই থেকে তিন মিলিয়ন ইয়েন।তবে এখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন কালো আকাশ। যেখানে জ্বলজ্বল করে কোটি কোটি তারা। স্পষ্টভাবে দেখা যায় ছায়াপথ।

মহাকাশ ভ্রমণ যে প্রতিটি মানুষের কাছে এক স্বপ্ন তা বলা বাহুল্য।  অদূর ভবিষ্যতে এই পর্যটন যে ব্যাপক লাভদায়ক ব্যবসা হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থারা বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। ইসরোর তরফেও বলা হয়, ভবিষ্যতে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য আলাদা করে প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।