Sunday, August 24, 2025

মৃত স্বামীকে ১৮ মাস ঘরে রেখে ছেটাতেন গঙ্গা জল! শোকে মানসিক ভারসাম্য হারালেন মহিলা

Date:

পরিবারের কাছের মানুষের মৃত্যুর শোক নিশ্চিতভাবে বেদনার। তবে তা যে এমন গুরুতর আকার নিতে পারে তা বোধহয় ভাবতে পারেননি কেউই। স্বামী মারা যাওয়ার পরও তার দেহ সৎকার না করে ১৮ মাস ধরে ঘরেই রেখে দিল মৃতের স্ত্রী। পরিবারের দাবি, ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়নি। তিনি বর্তমানে কোমায় রয়েছেন। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই যোগী রাজ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরে (Kanpur)। মৃতের নাম বিমলেশ দীক্ষিত(Bimalesh Dixit)। তিনি আয়কর দফতরের(Income Tax) কর্মী ছিলেন। তবে জানা গিয়েছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিমলেশ। ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল একটি বেসরকারি নার্সিংহোম মৃত্যু হয় তাঁর। ডেথ সার্টিফিকেটে (Death Certificate) মৃত্যুর কারণ হিসেবে লেখা ছিল সাডেন কার্ডিয়াক রেসপিরেটরি সিনড্রম (Sudden Cardiac Respiratory Syndrom)। কিন্তু স্বামীর চলে যাওয়া কিছুতেই মানতে পারেননি স্ত্রী। বিপুল শোকে বড়সড় মানসিক আঘাত পান তিনি। একটা সময় তা মানসিক অসুস্থতায় পরিণত হয়। প্রতিদিন সকালে স্বামীর দেহে গঙ্গাজল ছেটাতেন স্ত্রী। তিনি মনে করতেন কোমায় চলে যাওয়া স্বামী গঙ্গাজলের মহিমায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল বিমলেশের মৃত্যু হলেও তাঁর শেষকৃত্য করেননি পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, বিমলেশ কোমায় রয়েছেন। এভাবেই ১৮ মাস বাড়িতে ছিল মৃতদেহ। তবে সরকারি কর্মীর মৃত্যুর দীর্ঘদিন পরেও পরিবারের তরফে পেনশনের জন্য কোনও হেলদোল নেই দেখে সম্প্রতি ওই কর্মীর পরিবারের খবর নেন চিফ মেডিক্যাল অফিসার। তারপরই গোটা বিষয়টা সামনে আসে। এদিকে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জনান, বিমলেশ মৃত। অনেকদিন আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version