Sunday, August 24, 2025

১৯৪৭ সালের শরৎকাল। দেশ তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে। হুগলি (Hoogli) দক্ষিণ গুড়াপের দুই যুবক কালীপদ কুমার ও চণ্ডীচরণ ঘোষ ঠিক করলেন দুর্গাপুজোর (Durga Pujo) করবেন। সেই শুরু। দেখতে দেখতে ৭৫ বছর পার করল এই পুজো। দক্ষিণ গুড়াপ সার্বজনীন দুর্গাপুজোয় এবারের থিম ‘কেদারনাথ’।

সেই সময়ে প্রতিমা তৈরি করেন চণ্ডীচরণ নিজে। আর অর্থ যোগানের দায়িত্ব নেন কালীপদ। পাড়া ও গ্রাম থেকে সাধ্যমত চাঁদা তোলা হল। এছাড়া ধান ও অন্যান্য দ্রব্য সংগ্রহ করা হল। এই সময় সাহায্য করেছিলেন কালীপদর দুই বন্ধু বিশ্বনাথ গুঁই ও নীলপানি দে। এই বন্ধুরা কলকাতা থেকে চাঁদা তুলে দিয়েছিলেন। এই সব পুজোর নানা ইতিহাস ও গল্প জানান কালীপদ কুমারের পুত্র মোহনলাল কুমার। তিনি বলেন, তখন গুড়াপে না ছিল বিদ্যুৎ, না ছিল কোন ডেকারেটার্স। কিন্তু যেটা ছিল তা হল অফুরান উৎসাহ। দেবদারু পাতার গেট করে, লাল নীল কাগজের সিকলি দিয়ে সাজানো হয়েছিল প্রথম পুজোর মণ্ডপ। এখন যে স্থায়ী মণ্ডপে মহামায়ার আরাধনা করা হয় সেটি তৈরি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে চাঁদা তুলে। আর জায়গাটি কেনা হয়েছিল ১৯৯৫ সালে। তার আগে পাড়ার বিভিন্ন স্থানে পুজো অনুষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমান পুজোর সিংহভাগ আয়োজন করেন জীবনকৃষ্ণ কুমার। জীবন বললেন প্রথম দিকে পুজো করতেন জীতেন গঙ্গোপাধ্যায় ও রামধর্মা মুখোপাধ্যায়। আর সবটা আয়োজন করতেন ফণীভূষণ চক্রবর্তী, শিবরাম সেন, বলরাম সেন, লক্ষ্মীকান্ত ও তারাপদ ঘোষ। এই পুজো এখন গ্রামের অন্যতম দুর্গাপুজো ডেস্টিনেশনে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন:বৃষ্টিতে বাড়তে পারে ডেঙ্গি, পুজোতেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version