Saturday, August 23, 2025

মাও*বাদী যোগের অভিযোগে যাবজ্জীবন! বোম্বে হাইকোর্টে বেকসুর খালাস প্রাক্তন অধ্যাপক সাইবাবা

Date:

অবশেষে বেকসুর খালাস পেলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) প্রাক্তন অধ্যাপক (Former Professor) জি এন সাইবাবা (G N Saibaba)। মাও*বাদী (Maoist) যোগ সন্দেহে ২০১৭ সালে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি জেলা দায়রা আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবনের (Lifetime Imprisonment) সাজা ঘোষণা করে। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বোম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) দ্বারস্থ হন প্রাক্তন অধ্যাপক। শুক্রবার বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত দেও এবং অনিল পানসারের ডিভিশন বেঞ্চ সাইবাবার আর্জি মঞ্জুর করে। তারপরই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপককে দ্রুত মুক্তির (Release) নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বর্তমানে নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে (Nagpur Central Jail) বন্দি রয়েছেন তিনি। তবে শুধু সাইবাবাই নয়, এদিন তাঁর সঙ্গে আরও ৫ আবেদনকারীকেও বেকসুর খালাস করেছে উচ্চ আদালত।

এদিন সাজাপ্রাপ্তদের বেকসুর খালাস করে বোম্বে হাইকোর্ট সাফ জানিয়েছেন, যদি না তাঁরা অন্য কোনও মামলায় অভিযুক্ত থাকেন তাহলে তাঁদের যেন অবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। জি এন সাইবাবা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক ছিলেন। তার আগে তিনি রামলাল আনন্দ কলেজে পড়াতেন। এরপর ২০১৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মাও*বাদী যোগের অভিযোগ ওঠে এবং তাঁকে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharshtra Police) গ্রেফতার (Arrests) করে। তারপর থেকে তাঁর পরিবার সাইবাবার বেতনের অর্ধেক টাকা পেতেন।

কিন্তু মাও*বাদী যোগের কারণে গতবছর কলেজের অধ্যক্ষ তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত (Sacked) করে দেন। ২০১৭ সালের মার্চে মহারাষ্ট্রের গড়চিরৌলি জেলা দায়রা আদালত তাঁকে, এক সাংবাদিককে এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মাওবাদী যোগ এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যকলাপে মদতের অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) এবং ইউএপিএ –র (UPA) আওতায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণে সাইবাবাকে হুইল চেয়ারের উপর নির্ভর করতে হয়।

এদিকে সাইবাবার স্ত্রী বসন্ত কুমারী (Basant Kumari) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধৃত অধ্যাপক একজন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী৷ ৭ বছর ধরে তাঁকে বিনা কারণে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থার (Health Condition) চূড়ান্ত অবনতি ঘটেছে। বসন্ত কুমারী আরও জানান, আদালতের রায়ের পর তাঁরা যত দ্রুত সম্ভব সাইবাবাকে জেল থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন।

 

Related articles

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...

আস্থা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ, কটাক্ষ তৃণমূলের

দৃশ্য এক, বিজেপির নক্ষত্রখচিত মঞ্চ। মালা, উত্তরীয়তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) বরণ করছেন একের পর এক বঙ্গবিজেপির...

বাংলা বিদ্বেষীকে পাশে বসিয়ে বাঙালি প্রেম! মোদির দ্বিচারিতাকে ধুইয়ে দিল তৃণমূল

বাংলায় এলেই বাংলা ভাষায় বক্তৃতা। এ তো নরেন্দ্র মোদির রেওয়াজ হয়েছেই। সম্প্রতি তিনি উত্তর ভারতের গোবলয়ের দেব-দেবী ছেড়ে...
Exit mobile version