গুজরাটে(Gujrat) ভয়াবহ ব্রিজ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত ১৪০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১০০ জন। তবে দিনের আলো ফুরিয়ে আসায় বাধ্য হয়েই উদ্ধারকাজ(Rescue) বন্ধ করলো প্রশাসন। এদিকে প্রশাসনের আশঙ্কা, নদীর জলের তলায় কাদার মধ্যে এখনো আটকে রয়েছে বহু মানুষের মৃতদেহ(Dead body)। মঙ্গলবার সকালে ফের শুরু হবে উদ্ধার কাজ।

রবিবার সন্ধ্যার বিপর্যয়ের পর থেকেই উদ্ধারকাজে নেমেছে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার বিকেল পর্যন্ত উদ্ধারের কাজ চালিয়েও নিখোঁজ হওয়া বহু মানুষের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত এই ঘটনায় ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নদীর জল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ১৭৭ জনকে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ১০০ জন। আর এই সকল মৃতদেহ নদীর জলে কাদার মধ্যে আটকে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নদীর ঘোলা জলে রাতের অন্ধকারে সেই দেহগুলি উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলেই আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে উদ্ধারের কাজ।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার পর থেকেই প্রশাসনের দিকে উঠছে অভিযোগের আঙুল। অভিযোগ উঠেছে, এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও রকম সবুজ সঙ্কেত নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেওয়া হয়নি। অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেও দায়ী করছেন কেউ কেউ।
ব্রিটিশ আমলের ওই সেতুর বেহাল দশা হওয়ায় সাত মাস আগে সেতুটির সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামক সংস্থাকে। যে সংস্থার নির্মাণ সংক্রান্ত কাজের কোনও অভিজ্ঞতা নেই। কীভাবে এমন একটি সংস্থাকে সরকার বরাত দিল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ওই সংস্থার ৯ কর্মীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
