ভারতীয়দের প্রতি ‘অমানবিক’ আচরণ! বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই মুখ পুড়ল কাতারের

বিগত দশবছর ধরে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য আসা ভিন দেশের শ্রমিকদের সঙ্গে ‘ক্রীতদাসের’ মতো আচরণ করার জন্য তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে কাতার। আর রবিবার দুশোর বেশি পরিযায়ী শ্রমিককে কোনও খাবার বা জল না দিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে ৬ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

রবিবার ছিল বিশ্বকাপের (World Cup Football) উদ্বোধনী ম্যাচ (Opening Ceremony)। আর সেই উদ্বোধনী ম্যাচ ঘিরেই এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। এদিন ম্যাচ শুরুর আগে কমপক্ষে ২০০ ভারতীয় শ্রমিককে (Indian Workers) স্টেডিয়ামের বাইরে ৬ ঘণ্টা বিনা কারণে দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও একফোঁটা জল বা খাবার কিছুই দেওয়া হয়নি। আর বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। আয়োজক দেশের এমন উদাসীনতায় ক্ষেপে লাল ভারত সহ অন্যান্য দেশ।

রবিবার কাতারের (Qatar) ফুটবল বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ে। কিন্তু প্রথম ম্যাচের হুইসল বাজার আগেই ভারতীয়দের প্রতি ‘অমানবিক’ আচরণের কারণে সংবাদ শিরোনামে উঠে এল কাতার। আর বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগেই এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে কাতার সহ বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। এমনিতেই বিগত দশবছর ধরে স্টেডিয়াম তৈরির জন্য আসা ভিন দেশের শ্রমিকদের সঙ্গে ‘ক্রীতদাসের’ মতো আচরণ করার জন্য তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছে কাতার। আর রবিবার দুশোর বেশি ২২০ পরিযায়ী শ্রমিককে কোনও খাবার বা জল না দিয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে ৬ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, স্টেডিয়ামের ক্যান্টিনে কাজ করার জন্য নিয়োগ করা ২০০-এর বেশি কর্মীকে স্টেডিয়ামের বাইরে কড়া রোদে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ২২০ পরিযায়ী শ্রমিককে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে প্রায় ২০০ জনই ভারতীয়। তাছাড়া আরও ২০ জন ফিলিপিনো মহিলা ছিলেন সেখানে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আল খোরে অবস্থিত আল বায়েত স্টেডিয়ামের সামনে গতকাল লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন শ’য়ে শ’য়ে কর্মী। তারা তাদের নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। তবে তারা ব্যর্থ হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন।

কর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের স্থানীয় সময় সকাল ৯টার আগেই সেখানে আসতে বলা হয়েছিল। এরপর প্রায় ৬ ঘণ্টা সেখানে অপেক্ষা করতে হয়। বিশ্বকাপ চলাকালীন মোট ৫৫ দিনের জন্য এই কর্মীদের এক বেলা খাবার এবং ১০০০ মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নিয়োগকর্তারা। তবে যে পরিস্থিতিতে তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে, তাতে নাকি সন্তুষ্ট নন অধিকাংশ কর্মী।