৮ লক্ষের কম হলেই ‘সংরক্ষণ’ তবে আড়াই লক্ষে আয়কর কেন? কেন্দ্রের জবাব তলব হাইকোর্টের 

আর্থিকভাবে দুর্বল ও সংরক্ষিত শ্রেণির উচ্চশিক্ষা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে গত ৭ নভেম্বর সিলমোহর দিয়েছে দেশের শীর্ষ  আদালত। সেই রায় ঐতিহাসিক বলেই মনে করে দেশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এই আইন আনে কেন্দ্র। পরবর্তীকালে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।

বাড়ানো হোক আয়করের (Income Tax) ঊর্ধ্বসীমা। বহুদিন ধরেই এমন দাবি জানিয়ে আসছে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ। এবার আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণির (Economically Backward Class) সংরক্ষণ আইনসম্মত (Lawful) হতেই সামনে এল এক নতুন প্রশ্ন। উল্লেখ্য, যে পরিবারের আয় বার্ষিক ৮ লক্ষ সেই পরিবারকে আর্থিকভাবে অনগ্রসর শ্রেণীর আওতায় সংরক্ষণ দেওয়ার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে (Central Government Decission) সিলমোহর দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court of India)। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বার্ষিক ৮ লক্ষের কম রোজগারকারীরা যদি সংরক্ষণের আওতায় পড়েন, তাহলে আড়াই লক্ষে আয়কর দিতে হবে কেন? এই প্রশ্ন তুলেই সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টে (Madras High Court) দায়ের হয়েছিল একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL)। সেই মামলার প্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করল মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। ইতিমধ্যে মামলাকারীর আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রক, অর্থমন্ত্রক এবং জনস্বার্থ বিভাগের কাছ থেকে হলফনামা চেয়ে পাঠিয়েছে হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, আর্থিকভাবে দুর্বল ও সংরক্ষিত শ্রেণির উচ্চশিক্ষা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে গত ৭ নভেম্বর সিলমোহর দিয়েছে দেশের শীর্ষ  আদালত। সেই রায় ঐতিহাসিক বলেই মনে করে দেশ। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে এই আইন আনে কেন্দ্র। পরবর্তীকালে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। দীর্ঘ দিন ধরে শুনানির পর অবশেষে দেশের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের সমানাধিকারের স্বার্থে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এরপরই বিষয়টি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

কুন্নুর সুনিবাসন (Kunnur Sunibasan) নামে এক ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে আদালতে একটি আর্জি পেশ করেন। তাঁর দাবি, যেখানে বছরে ৮ লক্ষের কম রোজগার করা ব্যক্তিরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকার তকমা পাচ্ছেন, তাহলে আয়করের উর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে তা ৮ লক্ষ কেন করা হবে না? উল্লেখ্য বর্তমান আইন অনুযায়ী কারও বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার বেশি হলেই তাঁকে করের আওতায় আনা হয়। তবে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দেয় আয়কর দফতর। সেই যুক্তিতেই মামলা দায়ের করেছেন তিনি।

মামলাকারী সুনিবাসনের সেই আর্জি গ্রহণ করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চ। তবে বিষয়টি নিয়ে এবার কেন্দ্র কী জবাব দেয় সেটাই দেখার।

Previous articleNRC-ষড়যন্ত্রে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যেতে পারে: সতর্ক করলেন মমতা
Next articleজোর করে উচ্ছেদ নয়: বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সব উদ্বাস্তু কলোনির বাসিন্দাদের জমির পাট্টা