Thursday, August 28, 2025

সরকারি হাসপাতালে দালালচক্র ভাঙতে সরকারের কড়া অবস্থান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandopadhyay)। শুক্রবার বিধানসভায় (Assembly) হাসপাতাল দালাল মুক্ত করতে সকলের সহায়তা চান তিনি। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর আরও নজরদারি চালাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল সরকারি হাসপাতালে দালালরাজ নিয়ে প্রশ্ন করেন। উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার (Alipurduwar) হাসপাতালের আয়া ও দালাল চক্র নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তার জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপি বিধায়ক জেনুইন প্রশ্ন করেছেন। এটা বাস্তব সমস্যা। আগে পিজি হাসপাতালেও সমস্যা ছিল। একটা ডেটা ব্যাঙ্ক তৈরি করুন। যাতে কোন হাসপাতালে কী হচ্ছে সেটা জানা যায়। আয়া অনেকেই আছেন যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন। তবে আমি মনে করি তদন্ত হওয়া উচিত। দালালচক্র পেলেই ধরবেন। আমি সমর্থন করি না। হেলথ ডিপার্টমেন্ট মনিটর করুন।”

প্রসূতি বিভাগে মৃত্যু নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে সদ্যোজাত মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসায় গাফিলতি বা অবহেলার কারণে সদ্যোজাত বা মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে বহুবার। এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জানিয়ে দেন, প্রসূতি বিভাগে চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃ*ত্যু হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, এমন ঘটনা ঘটলে স্বাস্থ্য কমিশনকে চিঠি লেখার নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গাইনি চিকিৎসককে কল দিলেই আসতে হয়। তাঁদের গাফিলতিতে মৃত্যু হলে চিঠি লিখুন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।” ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট অনুযায়ী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নেওয়ার যে অভিযোগ ওঠে হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে। এদিন সেই বিষয়েও উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে বলে স্পষ্ট জানান মমতা। সরকারি হাসপাতালে কেন পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং নার্স নেই তা নিয়ে প্রশ্ন করেন বিরোধীদলের এক বিধায়ক। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সেই প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, শূন্যপদগুলিতে দ্রুত নিয়োগ হবে। একইসঙ্গে এদিন তিনি নিয়োগ নিয়ে মামলা করার বিষয়টি উল্লেখ করে এদিন ফের উষ্মা প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “হাসপাতালে শূন্য পদ পূরণ করার ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে রিক্রুটমেন্ট করতে গেলেই কেস ঠুকে দিচ্ছে।”

Related articles

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...

সুখবর! পুজোর আগে পার্ট টাইম কর্মীদের বেতন বাড়াল রাজ্য 

পুজোর আগে রাজ্যের আংশিক সময়ের কর্মীদের জন্য বড় সুখবর দিল নবান্ন। বিভিন্ন দফতর ও সরকার অধীনস্থ সংস্থায় কর্মরত...
Exit mobile version