কেন শীতবস্ত্র বিডিও অফিসে? চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, ভাষণ থামিয়ে মঞ্চে বসে মমতা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষের জন্য আনা জিনিস যদি, তাঁদের হাতে না পৌঁছয় আমার গায়ে জ্বালা হয়।“

শীতকালে অঞ্চলের মানুষদের দেওয়ার জন্য হিঙ্গলগঞ্জে ১৫ হাজার শীতবস্ত্র  (Hingalganj) নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার পৌনে একটা থেকে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী যখন সেই শীতবস্ত্র দেওয়ার উদ্যোগ নেন। তখন আধিকারিকরা জানান, তাঁর আনা শীতবস্ত্র পড়ে রয়েছে বিডিও অফিসে। এই কথা শোনার পর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। তিনি বলেন, “এই অনুষ্ঠানের জন্য আমি ১৫ হাজার শীতবস্ত্র কিনে এনেছি। গত তিনদিন ধরে ঘুরে ৫হাজার সোয়েটার, ৫হাজার কম্বল ও ৫ হাজার চাদর। এই শীতবস্ত্র দিতেই আমি এখানে এসেছি।“ “বিডিও অফিসে রাখতে কে বলেছে?“ তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই মুখ্যসচিব, জেলাশাসক-সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ডেকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মাঝপথে ভাষণ থামিয়ে তিনি বলেন, “যতক্ষণ না পর্যন্ত শীতবস্ত্র আনা হচ্ছে ততক্ষণ আমি মঞ্চে বসে থাকব“। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষের জন্য আনা জিনিস যদি, তাঁদের হাতে না পৌঁছয় আমার গায়ে জ্বালা হয়।“

এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পুলিশ অন্যায় করলে সেই দোষ এসে পড়ে আমার ঘাড়ে। সরকার কিছু ভুল করলে সেই দায় নিতে হয় আমাকেই।“ অথচ তিনি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার সব উদ্যোগ নেন। একই সঙ্গে মমতা জানান, জেলাশাসক, আইসি, বিডিও আইসিরা যদিও কাজ না করেন তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ মূর্তি দেখে তখনই ছোটেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু মমতা বসে থাকেন মঞ্চেই, যতক্ষণ না শীতবস্ত্র আসে। প্রায় মিনিট পনেরো শীতবস্ত্র আসার পরে বিলি শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সেখানে শীতবস্ত্র আছে সেখান থেকে আনতে ২-২:৩০ ঘণ্টা লাগবে। সেই কারণে বুধবার, বেলা ১২টা থেকে শিবির করে শীতবস্ত্র দেওয়া হবে। তাতে যদি আরও বেশি প্রয়োজন হয়, তাহলে তাও তিনি দেবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তিনি নজর রাখবেন, যাতে সবাই মুখ্যমন্ত্রীর উপহার পান।

 

 

 

 

Previous articleকলকাতা বিমানবন্দরে বেল্টের নীচে উদ্ধার ১ কেজি ১০১ গ্রাম সোনা
Next articleগোল না করেও গোলের পর উচ্ছাস, নেটিজেনরা গোল চুরির অভিযোগ আনলেন রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে