অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে কুণালের চায়ের আড্ডা, মহিলাদের বিশেষ বার্তা

জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেকের সভাস্থল পরিদর্শনের পর স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থকদের ও অনুরোধে সভাস্থলের ঠিক পিছনেই চায়ের আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন কুণাল

সোমনাথ বিশ্বাস, কাঁথি

রাত পোহালেই কাঁথিতে অভিষেকের বিশাল জনসভা। একদিন আগেই আজ, শনিবার বিকেলে সভার প্রস্তুতি দেখতে কলকাতা থেকে বিকেলেই প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে পৌঁছে যান তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দলের তরফে পূর্ব মেদিনীপুরে বিশেষ দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এদিন জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেকের সভাস্থল পরিদর্শনের পর স্থানীয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মী-সমর্থকদের ও অনুরোধে সভাস্থলের ঠিক পিছনেই চায়ের আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন কুণাল।

এই চায়ের আড্ডায় মহিলাদের উপস্থিতি বিশেষভাবে নজরে আসে। চা খেতে খেতে কুণাল ঘোষ উপস্থিত মহিলাদের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দেন কুণাল। তিনি বলেন, “এমন ছোট ছোট চায়ের আড্ডা মাঝে মধ্যেই করতে হবে। মহিলাদের বাড়তি উদ্যোগ, দায়িত্ব নিতে হবে। আপনাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলাদা করে ভাবেন। যাঁরা তৃণমূল সমর্থক নয়, তাঁদের নিজেদের দিকে নিয়ে আসুন। জোর করে নয় ভালোবেসে। তাঁদের বোঝান, এই সরকারের উন্নয়ন। সরকারি পরিষেবা থেকে সরাসরি সুবিধার কথা। বিভেদের বিষ পাড়ায় ছড়াতে দেবেন না। সংঘবদ্ধ থেকে উন্নয়নের জন্য লড়াই করুন। একদিকে বাংলার জনমুখী প্রকল্প ও অন্যদিকে কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতি। সেগুলি মানুষের কাছে তুলে ধরুন। লড়াই উন্নয়ন নিয়ে। কুৎসা করে নয়। যাঁরা আমাদের ভোট দেননি তাঁদের থেকে দূরে সরবেন না। রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি এবং তার উপযোগিতা মহিলাদের বোঝাতে হবে।”

এদিকে এদিনও চায়ের আড্ডাতেও শুভেন্দুকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি কুণাল। তিনি বলেন, “আপনাদের এখানেই বিশ্বাস ঘাতকতার ইতিহাস একটি পরিবার দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছে। যে শুভেন্দু ২০২০ সাল পর্যন্ত বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও বলতো, এখন নারদা-সারদায় ইডি-সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাসঘাতকদের পাশে থাকে না বাংলার মানুষ। সেটা বিধানসভা ভোটেই বুঝে গিয়েছে অধিকারীরা।”

আরও পড়ুন- কলেজ স্কোয়ারে শুরু দশম বাংলাদেশ বইমেলা, চলবে ১১ ডিসেম্বর অবধি