প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডলকে মঙ্গলবার প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। এই প্রথম এই মামলায় তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। এর আগে তাপসকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, ইডির জিজ্ঞাসাবাদে যে কথা জানিয়েছিলেন তাপস, সেই একই কথা সিবিআইকে তিনি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার সিবিআইকে তাপস জানান, তাঁর মহিষবাথানের অফিসে টাকার লেনদেন হত। অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্যই ওই টাকা নেওয়া হত বলে জানান তাপস। তবে মানিকের কাছ থেকে ওই টাকা কোথায় যেত, তা নিয়ে কিছু জানাতে পারেননি মানিক-ঘনিষ্ঠ। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কলকাতার নিজাম প্যালেসে যান তাপস।২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত তিনটি শিক্ষাবর্ষে টেটের জন্য ডিএলএড প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের থেকে নিয়মিতভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে বলেই খবর। ডিএলএড প্রশিক্ষণের জন্য ৬০০টি কলেজে অফলাইনে ভর্তির জন্যই নেওয়া হত ওই বিপুল অর্থ। ইডি সূত্রে খবর, প্রশিক্ষণ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কেউ অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করাতে না পারলে তাঁদের নাম অফলাইনে নথিভুক্ত করার ব্যবস্থা করতেন পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক।

দুপুর ৩টে ২০ মিনিট নাগাদ সিবিআই দফতর থেকে বেরোন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংবাদমাধ্যমে তাপস বলেন, ‘‘ইডির কাছে যা বলেছি, সিবিআইকেও সেটাই বলেছি। মানিকবাবুর সঙ্গে যা ঘটেছিল, তা ইডিকে বলেছি। সিবিআই সেটাই যাচাই করল। ২১ কোটি টাকার হিসাব আগে দিয়েছি। ছাত্রপিছু ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। উনি কোনও রসিদ দিতেন না।’’ডিইএলএড কোর্সে ভর্তির জন্য পড়ুয়াদের কাছ থেকে অফলাইনে ভর্তির জন্য প্রায় ২১ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তাপস। লোক পাঠিয়ে এই টাকা সংগ্রহ করতেন মানিক! এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন তাপস। এ কথা ইডির জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন মানিক-ঘনিষ্ঠ।
