Wednesday, August 27, 2025

উত্তরাখণ্ডে রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ নয়, স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের

Date:

রাতারাতি উচ্ছেদ হওয়ার আতঙ্ক কাটল, সাময়িক ভাবে স্বস্তিতে উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানির (Haldwani in Uttarakhand)বনভুলপুরায় থাকা ৪০০০ পরিবার । এভাবে এত বেশি পরিবারকে উচ্ছেদের যে অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তাতে সায় দিল না দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। রেলওয়ের ৭৮ একর জমি থেকে চার হাজারেরও বেশি পরিবারকে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়ে ছিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট (Uttarakhand High Court)। এবার সেই সিদ্ধান্তেই স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট (SC)। এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয় যে কয়েক হাজার মানুষকে রাতারাতি সরিয়ে ফেলা যাবে না। এটি একটি মানবিক বিষয়। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সমাধান খুঁজে বের করা দরকার বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

নতুন বছরের শুরুতেই আতঙ্ক নেমে এসেছিল বিজেপি (BJP) শাসিত উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানিতে (Haldwani in Uttarakhand)। এখানে প্রায় চার হাজার পরিবারের পঞ্চাশ হাজার মানুষ থাকেন। এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মরসুমে তাঁদের মাথায় আচমকা বজ্রাঘাত। তাঁরা সংবাদপত্রে একটি নোটিশ দেখতে পান যেখানে বলা হয়েছে, রেলওয়ে প্রায় ৮২.৯০০ কিলোমিটার থেকে ৮০.৭১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সমস্ত ‘অবৈধ দখল’ এক সপ্তাহের মধ্যে খালি করতে হবে। উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছিল যে এই নির্দেশ না মানলে সমস্ত দখল ভেঙে ফেলা হবে এবং দখলকারীদের কাছ থেকে খরচ আদায় করা হবে। হাইকোর্ট যেখানে ৪ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই নির্দেশে বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে প্রবল শীতের মধ্যে গৃহগীন হওয়া থেকে বাঁচলেন অসহায় মানুষেরা। এর আগে হাই কোর্টের শুনানিতে রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় বসবাসকারীরা জমির মালিকানার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সেই যুক্তি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেসে নেতা কাজী নিজামুদ্দিন। তবে তাঁর দাবি,৭০ বছর ধরে তারা ওই এলাকায় বসবাস করছেন।  ঘটনার নেপথ্যে কেন্দ্র এবং বিজেপি পরিচালিত উত্তরাখণ্ড সরকারের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, রেলের জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলির বড় অংশই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর। তবে সর্বোচ্চ আদালত এই এলাকায় যে কোনও নির্মাণ কাজের ওপরে স্থগিতাদেশ চেয়েছে এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের থেকে এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানি রেল স্টেশনের কাছে বনভুলপুরায় প্রায় ২ কিমি এলাকায় সরকারি জমিতে রয়েছে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি এবং ইন্দিরানগর। সেখানে বহু মানুষের পাকা বাড়ি রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের জমি লিজে রয়েছে। ওই এলাকায় ৪ টি সরকারি স্কুল, ১১ টি বেসরকারি স্কুল, একটি ব্যাঙ্ক, দুটি ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক, ১০ টি মসজিদ, ৪ টি মন্দির এবং বহু দোকান রয়েছে। যা কয়েক দশক ধরে তৈরি হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্ষ হয়েছে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।

Related articles

বিরক্ত মিঠুন? এড়াচ্ছেন বঙ্গ বিজেপির একাধিক কর্মসূচি

বারবার রং বদল করে আপাতত গেরুয়াতে ঠেকেছেন ডিস্কো ড্যান্সার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। ভোটের আগে বা বিজেপির. (BJP)...

আরজি কর কাণ্ডে ভুয়ো প্রচারের অভিযোগ! নোটিশ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীকে

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়া অভয়ার মৃত্যুকে ঘিরে ভুয়ো প্রচার মামলায় নোটিশ ধরাল কলকাতা পুলিশ। পুলিশের...

দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যে ডেঙ্গি-উদ্বেগ! টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে আশঙ্কা 

দুর্গোৎসবের মুখে একদিকে নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টি, অন্যদিকে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যবাসীর কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে। জুলাইয়ের শেষ দিক থেকে...

মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী! কিনলেন শাড়ি 

বর্ধমানে প্রশাসনিক সভায় এসে হঠাৎ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলে হাজির মুখ্যমন্ত্রী। শুধু মহিলাদের হাতের কাজই ঘুরে দেখলেন না, কেনাকাটাও...
Exit mobile version