Tuesday, May 13, 2025

উত্তরাখণ্ডে রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ নয়, স্থগিতাদেশ জারি সুপ্রিম কোর্টের

Date:

রাতারাতি উচ্ছেদ হওয়ার আতঙ্ক কাটল, সাময়িক ভাবে স্বস্তিতে উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানির (Haldwani in Uttarakhand)বনভুলপুরায় থাকা ৪০০০ পরিবার । এভাবে এত বেশি পরিবারকে উচ্ছেদের যে অমানবিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার তাতে সায় দিল না দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। রেলওয়ের ৭৮ একর জমি থেকে চার হাজারেরও বেশি পরিবারকে উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিয়ে ছিল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট (Uttarakhand High Court)। এবার সেই সিদ্ধান্তেই স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট (SC)। এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয় যে কয়েক হাজার মানুষকে রাতারাতি সরিয়ে ফেলা যাবে না। এটি একটি মানবিক বিষয়। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় সমাধান খুঁজে বের করা দরকার বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

নতুন বছরের শুরুতেই আতঙ্ক নেমে এসেছিল বিজেপি (BJP) শাসিত উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানিতে (Haldwani in Uttarakhand)। এখানে প্রায় চার হাজার পরিবারের পঞ্চাশ হাজার মানুষ থাকেন। এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মরসুমে তাঁদের মাথায় আচমকা বজ্রাঘাত। তাঁরা সংবাদপত্রে একটি নোটিশ দেখতে পান যেখানে বলা হয়েছে, রেলওয়ে প্রায় ৮২.৯০০ কিলোমিটার থেকে ৮০.৭১০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা সমস্ত ‘অবৈধ দখল’ এক সপ্তাহের মধ্যে খালি করতে হবে। উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের তরফে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছিল যে এই নির্দেশ না মানলে সমস্ত দখল ভেঙে ফেলা হবে এবং দখলকারীদের কাছ থেকে খরচ আদায় করা হবে। হাইকোর্ট যেখানে ৪ হাজার পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছিল, সেই নির্দেশে বৃহস্পতিবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে প্রবল শীতের মধ্যে গৃহগীন হওয়া থেকে বাঁচলেন অসহায় মানুষেরা। এর আগে হাই কোর্টের শুনানিতে রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিলেন, ওই এলাকায় বসবাসকারীরা জমির মালিকানার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সেই যুক্তি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেসে নেতা কাজী নিজামুদ্দিন। তবে তাঁর দাবি,৭০ বছর ধরে তারা ওই এলাকায় বসবাস করছেন।  ঘটনার নেপথ্যে কেন্দ্র এবং বিজেপি পরিচালিত উত্তরাখণ্ড সরকারের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, রেলের জমিতে বসবাসকারী পরিবারগুলির বড় অংশই সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর। তবে সর্বোচ্চ আদালত এই এলাকায় যে কোনও নির্মাণ কাজের ওপরে স্থগিতাদেশ চেয়েছে এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের থেকে এব্যাপারে প্রতিক্রিয়া চেয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানি রেল স্টেশনের কাছে বনভুলপুরায় প্রায় ২ কিমি এলাকায় সরকারি জমিতে রয়েছে গফুর বস্তি, ঢোলক বস্তি এবং ইন্দিরানগর। সেখানে বহু মানুষের পাকা বাড়ি রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তাঁদের জমি লিজে রয়েছে। ওই এলাকায় ৪ টি সরকারি স্কুল, ১১ টি বেসরকারি স্কুল, একটি ব্যাঙ্ক, দুটি ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক, ১০ টি মসজিদ, ৪ টি মন্দির এবং বহু দোকান রয়েছে। যা কয়েক দশক ধরে তৈরি হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্ষ হয়েছে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি।

Related articles

বিরাটের অবসরে আবেগতাড়িত অনুস্কা

সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে টেস্ট ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিয়েছেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। কিং কোহলির এই হঠাত্ সিদ্ধান্তে যেমন...

১৭ মে শুরু আইপিএল, ছটি ভেন্যুতে ১৭ ম্যাচ

জল্পনাটা আগে থেকেই চলছিল। সোমবার রাতেই ঘোষণা হয়ে গেল আইপিএল(IPL) শুরু হওয়ার দিন। আগামী ১৭ মে থেকে শুরু...

বাড়িতে সিসিটিভি বসাতে লাগবে সকলের সম্মতি, ব্যক্তিগত গোপনীয়তার পক্ষে রায় সুপ্রিম কোর্টের 

যৌথভাবে বসবাসকারী বাড়িতে অন্য বাসিন্দাদের সম্মতি ছাড়া সিসিটিভি বসানো যাবে না—এই গুরুত্বপূর্ণ রায় বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।...

তাপপ্রবাহের পর ঝড়বৃষ্টি: ভিজল রাজ্যের একাধিক জেলা

বৃষ্টির স্বস্তি একদিকে, অন্যদিকে তাপপ্রবাহের তাণ্ডব—দুয়ের মধ্যে দোদুল্যমান রাজ্যের আবহাওয়া। আবহাওয়া দফতরের স্যাটেলাইট চিত্র অনুযায়ী, সোমবার বর্ধমান হয়ে...
Exit mobile version