প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও ৩ জনকে পাকাপাকিভাবে শিক্ষকের পদ থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর ফলে মোট ২৫৬ জনকে পাকাপাকি বরখাস্ত করলেন তিনি। আদালতের সামনে নিজেদের নিয়োগের স্বচ্ছতা প্রমাণ করতে না পারায় বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের। ২৫৮ জনের মধ্যে এখনো পর্যন্ত চাকরি বাঁচাতে পেরেছেন মাত্র ২ জন।
প্রাথমিকে বরখাস্ত হওয়া ২৫৮ জনকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ অনুসারে প্রত্যেককে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই হলফনামাগুলি খতিয়ে দেখে এখনো পর্যন্ত ২৫৬ জনকে বরখাস্ত করেছেন তিনি।
বলে রাখি, এর আগে তিন দফায় যথাক্রমে ৫৩ জন, ১৪০ জন ও ৬০ জনকে বরখাস্ত করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এখনো পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চতর আদালতে আবেদন করেননি কেউ। সঙ্গে এই মামলায় ২ জন শিক্ষককে পুনর্নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৬৮ জনকে বরখাস্ত করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বরখাস্ত হওয়া প্রার্থীরা। যদিও মামলা আবার হাইকোর্টেই ফেরত পাঠিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকে মোট ২৫৬ জনের চাকরি বাতিল এবং বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। সেই নির্দেশ এদিনও বহাল রাখলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত মাত্র দুজনের চাকরি ফিরিয়ে দিয়েছে আদালত। এই দুই প্রাথমিক শিক্ষককে (Primary Teacher) চাকরিতে পুনর্বহাল করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আরও একটি মামলা হয়েছে।