নাশকতার বড়সড় ছক বানচাল! জ*ঙ্গি সন্দেহে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার আরও ১

0
1

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই নাশকতার ছক বানচাল করে মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া থেকে আইএসআইএস (ISIS) যোগ সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স(STF)।ধৃতের নাম কুরেশি। তিনি আইএস মডিউলের মাথা বলে তদন্তে উঠে এসেছে। কুরেশিকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসছে এসটিএফ।

আরও পড়ুন:উপত্যকায় বড় সাফল্য! নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহ*ত ৪ জঙ্গি

গত শুক্রবার দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মহম্মদ সাদ্দাম ও সৈয়দ আহমেদকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। আইএস সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপরই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে গোয়েন্দাদের হাতে। সাদ্দাম কলকাতা মডিউলের অন্যতম মাথা বলে তদন্তে উঠে এসেছে।গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়া মহম্মদ সাদ্দামের গুরু এই কুরেশি। তাঁর হাত ধরেই সাদ্দাম জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়।


আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে সাদ্দাম, সৈয়দরা। তাঁদের জেরা করে একের পর এক তথ্য এসটিএফের হাতে উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। সাদ্দামরা বড়সড় হামলার ছক ছিল বলে গোয়ান্দাদের কাছে তথ্য এসেছে বলে সূত্রের দাবি। সে কারণে অস্ত্র জোগাড়ও করছিল তারা। সোমবার এনআইএ-র একটি দল লালবাজারে যায়। জঙ্গি সন্দেহে ধৃত সাদ্দাম ও সৈয়দদের জেরা করে তারা।এসটিএফ সূত্রের খবর, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এম টেকের ছাত্র সাদ্দাম, মাঝপথেই পড়াশোনা ছেড়ে চাকরি নেয় এক বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু হঠাৎ করে তার চাকরি চলে যায়। এসটিএফ সূত্রের দাবি,  পরিবারকে সাদ্দাম জানিয়েছিল, সে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছে। কিন্তু আদতে, গত ২ বছর ধরে সে জঙ্গি সংগঠন ISIS-এর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছিল বলে, জেরায় জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। টেলিগ্রাম নামের এক সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে সাঙ্কেতিক ভাষায় চলত কথাবার্তা।সন্দেহভাজন IS জঙ্গিদের নিশানায় কারা ছিলেন? কোথায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল? ধৃত দুই সন্দেহভাজন IS জঙ্গিকে জেরা করে এখনও এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে STF।