Thursday, November 13, 2025

ধর্মগুরুদের প্রত্যক্ষ রাজনীতির ভাষায় কথা বলা দুর্ভাগ্যজনক: মত তৃণমূলের

Date:

বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ (Naushad Siddiqui)। তারই প্রতিবাদে আজ, বুধবার কলকাতার রাজপথে মিছিল করে আইএসএফ (ISF) নেতা-কর্মীরা। এই মিছিলকে কটাক্ষ করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

এদিন কুণাল বলেন, “প্রশাসন একটা দায়িত্বশীল ভূমিকার পরিচয় দিয়েছিল। তৃণমূলও দায়িত্ব পালন করেছিল। বিনা নোটিশে অবরোধ। মানুষ নাজেহাল। ধর্মতলায় যা হয়েছিল, তা অনভিপ্রেত। মিছিল থেকে আক্রমণ করা হয়। এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার যে গ্রেফতার হবেন। ভুয়ো রক্ষী বলে চালিয়ে দেবেন। পুলিশকে মারবে, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হবে। যাঁরা করছেন, তাঁরা ইচ্ছাকৃত ভাবে করছেন। সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি ও প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রস্তুতি চলছে। ইন্ধন, প্ররোচনা দিতে করছেন। আজকের মিছিল অবাঞ্ছিত। অশান্তি করতে চায়। তৃণমূল প্ররোচনায় পা দেবে না।
কুণালের আরও সংযোজন, “ভাঙড়ে মিছিল ডাকা হয়েছিল তৃণমূলের তরফে। অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তৃণমূলের মিছিলেও না করেছে। এটা রাজধর্ম পালনের থেকেও এটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগে মিছিল নয়, তাই তৃণমূলকেও অনুমতি দেয়নি। দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েছে পুলিশ। তৃণমূলও মিছিল করেনি।”

ধর্মগুরু হয়ে প্রত্যক্ষ রাজনীতির কড়া নিন্দা করেন তৃণমূল মুখপাত্র। তাঁর কথায়, “সকল ধর্মের ধর্মগুরুদের আমরা শ্রদ্ধা জানাই। তবে ধর্মগুরুরা যেন রাজনৈতিক নেতার ভূমিকা না নেয়। ধর্মগুরুদের একাংশ সরাসরি রাজনীতি নিয়ে কথা বলছেন। এটা বলা উচিত নয়। রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে অন্য কিছুকে জড়ানো উচিত নয়। বিনা নোটিশে জনজীবন বিপর্যস্ত করেছে ধর্মতলায়। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে। সেটাই স্বাভাবিক। প্রত্যক্ষ রাজনীতির ভাষায় কথা বলা দূর্ভাগ্যজনক। মানুষের অসুবিধা দেখাও তাঁদের কাজ। সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন স্থানে যে বিবৃতি দিয়েছেন তা যথাযথ নয়। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটলে সরকার জাতি-বর্ণ-নির্বিশেষে দায়িত্ব পালন করবেন। তাই বারবার অনুরোধ থাকবে, রাজনৈতিক নেতাদের মতো যেন আচরণ ধর্মগুরুরা না করেন।”

কুণাল আরও বলেন, “অনেকে বলছেন তাঁরা ভোট দিয়েছেন বলেই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেছেন? এই বিবৃতি যথাযথ নয়। রাজনৈতিক উইং আইএসএফ’কে আপনারা ভোট দিয়েছেন। যাঁরা ভোটের আগে আইএসএফ করেছিলেন, তাঁরা এখন তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়েছেন কেন বলছেন? জাতি-ধর্ম দেখে আমরা রাজনীতি করি না। ধর্মগুরুরা রাজনীতিতে এসে রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশের সামনে পড়লে তখন ধর্মগুরু বলা যাবে না।”

 

 

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...
Exit mobile version