বীরভূম বিস্ফো*রণে মৃ*ত্যু লাল্টুর, SSKM-এ গিয়ে পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস ফিরহাদের

তবে পুরো ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলে ফিরহাদ জানিয়েছেন, যারা মেরেছে তারা ১০০ শতাংশ বিজেপির লোক। আগে তারা বিজেপি করত কিন্তু বর্তমানে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত।   

বীরভূম (Birbhum) বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃত্যু হল মাড়গ্রাম এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান (TMC Panchayat Head) ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখের (Latu Seikh)। এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি ছিলেন লাল্টু। চিকিৎসার জন্য রবিবার সকালেই তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং চিকিৎসা চলাকালীন তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয় লাল্টুর। শনিবারই বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয় লাল্টুর সঙ্গী নিউটনের (Newtown)। আর তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই মৃত্যু হল পঞ্চায়েত প্রধানের ভাইয়ের।

এদিকে রবিবার দুপুরেই গুরুতর আহত লাল্টুকে এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে যান রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। রবিবার দুপুরে হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। এদিন ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, এসব বিস্ফোরক সাধারণত বাজারে পাওয়া যায় না। তাঁর অভিযোগ, ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতীরা সীমানা পেরিয়ে এসে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে এখনই সঠিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। কিন্তু দুর্ঘটনার পিছনে সরাসরি দুষ্কৃতীদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এত বেশি করে কেন এমন দুর্ঘটনা ঘটছে এদিন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ।

তবে পুরো ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলে তিনি জানিয়েছেন, যারা মেরেছে তারা ১০০ শতাংশ বিজেপির লোক। আগে তারা বিজেপি করত কিন্তু বর্তমানে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। এরপরই ফিরহাদ জানান, বোমা বারুদ বাংলার রাজনীতিতে শেষ কথা বলে না। মানুষ শেষ কথা বলে। বীরভূমে এসব করে কিছুই লাভের লাভ হবে না। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাত দশটায় বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat) মাড়গ্রামের ধুলফেলা গ্রামে আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দ পান স্থানীয়রা। বাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা দেখেন বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন। জখম হন মাড়গ্রাম এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ, তার বন্ধু নিউটন শেখ-সহ তিনজন। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। এরপরই আহতদের উদ্ধার করে রামপুরহাট গভমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় নিউটনের। তবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তৃণমূল প্রধানের ভাই লাল্টু। তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রথমে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাঁকে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়।

ইতিমধ্যে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ভুট্টো শেখের ভাই লাল্টু শেখ। এরপরই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর সঙ্গী নিউটন শেখের। রাতে শুরু হয় পুলিশি তৎপরতা। অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালায় মাড়গ্রাম থানার পুলিশ। শনিবার রাতেই মূল অভিযুক্ত সুজাউদ্দিন সহ আরও ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তবে জনবহুল হাসপাতাল মোড়ে কী ভাবে বিস্ফোরণটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এটি বোমাবাজির ঘটনা নাকি কোথাও বোমা মজুত রাখা ছিল, কোনভাবে সেটি ফেটে গিয়েছে, তাও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে একে সুপরিকল্পিত হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

 

 

 

Previous articleদেউচা পাচামি নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগ ফুৎকারে ওড়ালেন কুণাল
Next articleযাত্রী পরিষেবা দিতে ব্যর্থ রেল, ট্রেন বাতিলের লম্বা তালিকায় বাড়ছে ক্ষো*ভ !