Friday, August 22, 2025

প্রয়াত দেশের কিংবদন্তি ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

Date:

প্রয়াত হলেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো পাঁচ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। বয়স হয়েছিল ৮৬।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি রোগে ভুগছিলেন শেষের দিকে স্মৃতি হারিয়েছিলেন। পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, চুনী গোস্বামীর অভিন্ন হৃদয় বন্ধু বলরামের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রীড়া জগত।শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শোকবার্তায় তিনি লিখেছেন, কিংবদন্তী-প্রতিম  ফুটবলার তুলসীদাস বলরামের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর প্রয়াণে ইতিহাসের একটি অধ্যায় শেষ হয়ে গেল।

ভারতীয় ফুটবলের স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা ফুটবলার তুলসীদাস বলরাম অলিম্পিকসহ বহু আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অধিনায়কও হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে  ২০১৩ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদান করে। এছাড়া তিনি অর্জুনসহ অজস্র সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।তাঁর প্রয়াণে ক্রীড়া জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল।আমি তুলসীদাস বলরামের পরিবার-পরিজন ও  অনুরাগীদের  আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ১৯৫৬ সালে ভারতীয় অলিম্পিক্স ফুটবল দলের শেষ জীবিত সদস্য ছিলেন বলরাম। পি কে ব্যানার্জী এবং চুনী গোস্বামীর সঙ্গে একসঙ্গে উচ্চারণ করা হত তাঁর নাম। ভারতের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার ছিলেন তিনি। পি কে এবং চুনীর সঙ্গে জুটি বেধে বহু গোল করেছেন এবং করিয়েছেন। দুই কাছের বন্ধুর প্রয়াণে শেষ কয়েক বছরে হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। তাঁর প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে ‘পি কে-চুনী-বলরাম’ ত্রয়ী যুগেরও অবসান হল।

পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর উত্তরপাড়ার বাড়িতেই থাকতেন বলরাম। বাইরে খুব একটা বেরোতেন না।রোগে ভোগা শরীর ক্রমশ জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। চলার ক্ষমতাও হারিয়েছিলেন।

তাঁর জন্ম হয়েছিল হায়দরাবাদে। তবে হয়ে গিয়েছিলেন বাংলার ফুটবলার। এখানে উত্তরপাড়ায় থাকতেন। ১৯৩৬ সালের ৪ অক্টোবর সেকেন্দ্রাবাদে জন্মেছিলেন। ১৯৫৪ সালে আর্মি কমব্যাট ফোর্সের হয়ে ফুটবল খেলা শুরু। এরপর হায়দরাবাদের রাইডার্স ক্লাবের হয়ে খেলতেন। সেখান থেকে যোগ দিয়েছিলেন হায়দরাবাদ সিটি পুলিশে। এরপরই খেলতে আসেন ইস্টবেঙ্গলে।

১৯৫৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেক। ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ভারতের হয়ে খেলেন। জাতীয় দলের জার্সিতে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন গোল রয়েছে তাঁর। ১৯৬২ সালে জাকার্তায় এশিয়ান গেমসে সোনা জয়ী ভারতীয় দলে পিকে, চুনীর সঙ্গে তিনিও ছিলেন। ফাইনালে একটি গোলও করেছিলেন। থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধেও একটি গোল করেছিলেন বলরাম। ১৯৬২ সালে অর্জুন সম্মান পেয়েছিলেন।২০১৩ সালে ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মান প্রদান করে রাজ্য সরকার। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেক ধরে ভর্তি ছিলেন। তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য সরকার।

 

 

Related articles

সোনা জয়ী অভিনবকে শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ জুনিয়র (Asian Shooting Championship) এয়ার রাইফেল বিভাগে বাংলার অভিনব সাউয়ের (Abhinaba Shaw)। তাঁর এই সাফল্যই...

পুজোর আগে রাজ্য পুলিশের শীর্ষস্তরে রদবদল! পরিবর্তন হল ৬ জেলার এসপি-ডিসি

পুজোর মুখে রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদে বড়সড় রদবদল করল নবান্ন। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একাধিক জেলায় পুলিশ...

‘নোরা ফাতেহি’ হতে হবে! স্ত্রীকে জোর করে শরীরচর্চা করিয়ে গর্ভপাত শিক্ষকের

যোগীরাজ্যে স্কুলশিক্ষকের ফ্যান্টাসির চূড়ান্ত নমুনা! স্ত্রীকে হতে হবে রোগা ছিপছিপে চেহারার। আর সেই চেহারা বানাতে গিয়েই স্বামীর নির্মম...

গান-কবিতায় সংসদে সরব তৃণমূল! বয়কট রাজ্যসভার চা-চক্র

বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শেষ দিনে সংসদ উত্তাল হল বাংলা গান, কবিতা, বিক্ষোভ, প্রতিবাদে। সংসদের অন্দরে যেমন কালাকানুন, এসআইআর, ভাষাসন্ত্রাসের...
Exit mobile version