Friday, August 29, 2025

বিজয়নের বক্তৃতার বঙ্গানুবাদে বাদ বাংলার রাজভবনের নিন্দা!

Date:

কেন্দ্রের মোদি সরকারের পাঠানো রাজ্যপালরা অবিজেপি রাজ্যে গিয়ে রাজ্য সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করছে। এই ইস্যুতে তাঁর বক্তৃতায় কেরল আর বাংলাকে এক বন্ধনীতে যুক্ত করেছিলেন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএম (CPIM) নেতা পিনারাই বিজয়ন (Pinarayi Vijayan)। শুক্রবার, হাওড়ায় সিপিআইএমের খেতমজুরদের সংগঠন সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের দশম সর্বভারতীয় সম্মেলনের সমাবেশে যোগ দেন বিজয়ন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Basu), সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim)-সহ বাম নেতৃত্ব। বিজয়ন ইংরেজিতে তাঁর বক্তব্য রাখছিলেন। আর সেটা মঞ্চে বাংলায় তর্জমা করছিলেন হাওড়া স্থানীয় নেতা সৌভিক ঘোষ। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কেরালার কথা উল্লেখ করলেও বাংলা তরজমায় বাংলার নাম মুখে আনলেন না সিপিআইএম নেতা। ইচ্ছাকৃত? নাকি নিছক ভুল? সিপিআইএমের মতো সংগঠনভিত্তিক দল, যারা সব সময় নিজেদের নিয়মনিষ্ঠার উদাহরণ দেয়, তাদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে এই ধরনের ভুল হয় কী করে!

বিজয়ন তাঁর ইংরাজি বক্তৃতায় স্পষ্ট করে বলেন, বিজেপিকে তুলোধনা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যপালদের ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানতে চাইছে। তাঁর কথায়, বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিকে তারা নিশানা করছে। কেন্দ্রের অ্যাজেন্ডা নিয়ে কেরল, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে রাজ্য সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছেন রাজ্যপালরা। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় এটা খুবই বিপজ্জনক। কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর এই ইংরেজি ভাষণ বাংলায় অনুবাদ করার সময়, ওই সিপিআইএম নেতা পশ্চিমবঙ্গের বিষয়টি এড়িয়ে শুধু কেরলের কথাই বলেন।

জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকার সময়, রাজ্যের সঙ্গে তাঁর সংঘাত নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেছিলেন স্বয়ং বিমান বসু। এমনকী, তৃণমূলের কথারই সুর টেনে বাম নেতৃত্ব বলেছিলেন, বিজেপি রাজভবনকে তাদের পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছে। কেরলেও পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে সেই রাজ্যের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের সম্পর্ক তিক্ত। সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল হয়ে আসার পর ২৬ জানুয়ারি বিকেলে তাঁর হাতেখড়ির অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের সম্পর্কে শৈত্য দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিজয়নের বক্তৃতার অনুবাদে বাংলাকে বাদ দেওয়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। তবে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মতে, এটা কোনও ভুল নয়, পুরোটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সিপিএমের পুরো বিষয়টাই ধোঁয়াশায় ভরা। বাংলায় বিজেপিকে সাহায্য করতে চায়। কেন্দ্রে আবার বিজেপির বিরোধিতা। কেরলে পিনারাই বিজয়নরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। আর এখানে তাঁর পার্টি অধীর চৌধুরীদের সঙ্গে জোট করে।

আরও পড়ুন- শিক্ষক এইচ*আইভি আক্রা*ন্ত, সন্দেশখালির সৌমিত্রকে অনির্দিষ্টকালের ‘ছুটি’ দিল স্কুল !

 

Related articles

রজতজয়ন্তীতে ডব্লিউবিএনইউজেএসকে উচ্চ প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রধান বিচারপতির

কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউবিএনইউজেএস)-এর উৎকর্ষতা এখন বেঙ্গালুরুর থেকেও এগিয়ে—রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের...

এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা পিছবে না, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও লাভ হলো না কিছু প্রার্থীর। দেশের...

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...
Exit mobile version