তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও নিয়ে বিজেপির কর্মসূচি সুপার ফ্লপ।এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করে সোমবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল বলেন, ওরা অভিষেকের বাড়ি অনেকদিন থেকেই টার্গেট করে রেখেছে। বিজেপি তো ইডি-সিবিআইকে পাঠিয়ে দেয়। ব্যক্তিগত আক্রমণ, পরিবারকে আক্রমণ, ব্যক্তিগত কুৎসা, এগুলোতো ওরাই শুরু করেছেন। আমরা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করেছিলাম তার কারণ রাজবংশী মেরে রাজবংশী প্রেম দেখানো হচ্ছে। ভাবতে পারেন ১৮০ টি বুলেট একজনের শরীরে। আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। তাই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর বাড়ির বেশ কিছুটা দূরে অবস্থান করা হয়েছে। বিজেপির যারা অভিষেকের বাড়ির কাছাকাছি যেতে চান তাদের শুধু মনে করিয়ে দেবো, সাথে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডটা রাখবেন যাতে বাড়ি ফেরার সময় বিনা পয়সায় চিকিৎসা করে বাড়ি ফিরতে পারেন।

এমনকী,বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ঠিক সেইদিনই পাহাড়ে বনধ ডেকেছে বিনয় তামাংরা। এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, অত্যন্ত জনবিরোধী সিদ্ধান্ত। বহুদিন পর পাহাড়ের মানুষ শান্তিতে আছেন। একটা সুস্থ-সফল-সচল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে পাহাড়ে। সেখানে যে বা যারা ফের অচলাবস্থার সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন কেউ তা মেনে নেবে না। পাহাড়ে ফের পর্যটকরা আসছেন, মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। কারো কারো মদতে যারা পরিস্থিতি ঘোরালো করার চেষ্টা করছেন তা ব্যর্থ হবে।

নদিয়ায় বিএসএফের কমান্ডারের ধর্ষণ কাণ্ডে কুণালের স্পষ্ট কথা, যারা বিএসএফের হয়ে সওয়াল করেন যে বিএসএফ এলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এই তার নমুনা। আমরা অবিলম্বে বিএসএফের তরফ থেকে বিবৃতি দাবি করছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিবৃতি দাবি করছি. আর যারা বিএসএফের হয়ে সওয়াল করেন তাদের বক্তব্য জানতে চাইছি। তিনি বলেন, কোচবিহারে বিমান পরিষেবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছেন। আর বিজেপির কেউ কেউ তাতে উঠবে উঠবে করছে। বিজেপি ছেলেমানুষি করুক তৃণমূল এসব ছেলেমানুষির মধ্যে থাকে না।
