Tuesday, November 11, 2025

মোদি সরকারের ঢাক পেটানোই সার! ৫ শতাংশের নীচে নামল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার

Date:

Share post:

ফের ৫ শতাংশের নীচে নেমে গেল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক থেকে কেন্দ্রের দাবি, জিডিপি বৃদ্ধিহার হবে আশাব্যঞ্জক। কিন্তু মোদি সরকারের ঢাক পেটানোই সার! সেই সম্ভাবনা এখন অথৈ জলে। আর্থিক ঘাটতি রেকর্ড গড়েই চলেছে। মূল্যঝ্যবৃদ্ধির হার ফের আকাশছোঁয়া। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডারে ধস। ডলারের বিনিময়ে টাকার মূল্য তলানিতে। আমদানির তুলনায় রফতানির হার উদ্বেগজনকভাবে কমছে।

অর্থনীতির এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে এবার নয়া সংযোজন চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের জিডিপি বৃদ্ধিহার। তা ৪.৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান সেই আশঙ্কাকেও ছাপিয়ে গেল। তথ্য – পরিসংখ্যান বলছে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমায় জিডিপি বৃদ্ধিহার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪.৪ শতাংশে। এই পরিসংখ্যান যথেষ্ট উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে অর্থনৈতিক মহলে।

কারণ, শুধু জিডিপি নয়, উৎপাদন ক্ষেত্রের বৃদ্ধিহার পর্যন্ত কমে গিয়েছে। একই হাল হোটেল এবং পর্যটন সেক্টরের। মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অনন্ত নাগেশ্বরণ বলেছেন, ৭ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধিহার অর্জন করা এখনও সম্ভব। যদিও পরিসংখ্যান সেকথা বলছে না। বর্তমান আর্থিক বছরে প্রতিটি ত্রৈমাসিকেই লাগাতার কমে চলেছে জিডিপি বৃদ্ধিহার। এই প্রবণতা তাই আতঙ্ক বাড়িয়েছে অর্থনৈতিক মহলে।
২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জুন, প্রথম তিন মাসে এই হার ছিল ১৩.৫ শতাংশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে তা নেমে আসে অর্ধেকে, ৬.৩ শতাংশ। আর তৃতীয় ত্রৈমাসিকে সেটি আর কমে ৪.৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ এই পরিসংখ্যানই সবথেকে বেশি উদ্বেগের। ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমায় ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা। এই ১০ মাসে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ১৯ লক্ষ কোটি টাকার সামান্য বেশি। আর ব্যয় হয়েছে ৩১ লক্ষ কোটি টাকার মতো। রাজস্ব সংগ্রহের ক্ষেত্রেও ট্যাক্স বাবদ আয়ের পরিমাণ ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। আর ট্যাক্সবহির্ভূত আয়ের অঙ্ক কমবেশি ২ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা। অথচ হিসেব অনুযায়ী, এই সময়সীমায় অনেক বেশি হওয়ার কথা ছিল আর্থিক লেনদেন। কিন্তু তা হয়নি। এই তথ্যও যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
কিন্তু কেন এই মন্দা? কারণ প্রধানত দু’টি। মূল্যবৃদ্ধি আকাশছোঁয়া এবং উৎপাদন শিল্প একপ্রকার তলানিতে। পাশাপাশি বাণিজ্য ঘাটতি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এপর্যন্ত লাগাতার রপ্তানি কমতে কমতে সর্বনিম্ন স্তরে এসে পৌঁছেছে। আর এই সবকিছুর যোগফল হল, জিডিপি বৃদ্ধি কমে যাওয়া।

 

spot_img

Related articles

ধর্মেন্দ্রর অবস্থার অবনতি, রাতেই হাসপাতালে ছুটলেন শাহরুখ-সলমন

বর্ষীয়ান বলিউড অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) শারীরিক অবস্থার অবনতি। রাতেই ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে গেলেন শাহরুখ-সলমানরা (Shahrukh Khan - Salman...

সলমনই হামলার মাস্টারমাইন্ড? দিল্লি বিস্ফোরণে গ্রেফতার ব্যবহৃত গাড়ির মালিক

সাদা রঙের একটি হুন্ডাই আই–২০ গাড়ি ধীরে ধীরে এসে ট্রাফিক সিগন্যালের সামনে থামতেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটে বিস্ফোরণ। সোমবার...

দিল্লি বিস্ফোরণের জের: কলকাতার সব থানাকে সতর্ক করেছে লালবাজার, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা চেকিং

দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে দেশের রাজধানীর পাশাপাশি হাই অ্যালার্ট (High...

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর! ঘটনাস্থলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, গ্রেফতার গাড়ির মালিক

দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১। বিষ্ফোরণ হওয়া গাড়ির মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যায় লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের...