Sunday, August 24, 2025

‘শান্তিনিকেতনে বসন্ত তাণ্ডব হত। বন্ধ করে দিয়েছি’:বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য

Date:

”বিশ্বভারতী অল্পশিক্ষিত এবং অর্ধশিক্ষিত লোকজনে ভরে গিয়েছে। বসন্ত উৎসবের নামে বসন্ত-তাণ্ডব বন্ধ করে দিয়েছি। “বুধবার বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহে বসে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।পাশাপাশি তিনি এও বলেন, “রবীন্দ্রনাথ উৎসব চাননি, তিনি বন্দনা চেয়েছিলেন। আমরা সেটাই করব। তাণ্ডব বন্ধ করে হবে বসন্ত বন্দনা।”

আরও পড়ুন:আশ্রমিক-প্রাক্তনীদের “ভোগী” বললেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য, পাল্টা কটাক্ষও শুনলেন বিদ্যুৎ

পর পর দু’বছর কোভিড আবহে বসন্ত উৎসব বন্ধ ছিল। তার পর ২০২২ সালেও বসন্ত উৎসব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সে বার কারণ হিসাবে হস্টেল খোলা-সহ একাধিক দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের বিষয়ের কথা বলেছিলেন উপাচার্য। কিন্তু এ বারও বসন্ত উৎসব বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশের বিরোধের মাঝে কেন বসন্ত উৎসব বন্ধ হল তা নিয়ে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে উপাচার্যকে।
এদিন আশ্রমিকদের ফের ‘বুড়ো খোকা’ বলে আক্রমণ করে বিদ্যুৎ বলেন,বিশ্বভারতী অশিক্ষিত এবং অল্পশিক্ষিত ব্যক্তিতে ভরে গিয়েছে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বসন্ত বন্দনা করা হবে। আগামী ৩ মার্চ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বাইরের কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না। শুধুমাত্র উপস্থিত থাকতে পারবেন বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা। কেন ‘বসন্ত বন্দনা’র আয়োজন হয়েছে, এ নিয়ে বলতে গিয়ে বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসবের নামে ২০১৯ সালে তাণ্ডব দেখেছিলাম। সেই তাণ্ডবই আমরা বন্ধ করেছি। তার বদলে করা হচ্ছে ‘বসন্ত বন্দনা’। এর পরই উপাচার্য বলেন, ‘‘২০১৯ সালে বসন্ত উৎসব বসন্ত তাণ্ডবে পরিণত হয়েছিল। তাই বন্ধ করেছি। এখন বসন্ত বন্দনা হচ্ছে।’’ তাঁর দাবি, রবীন্দ্রনাথ উৎসব চাননি, চেয়েছিলেন বন্দনা। উৎসবের নামে এই তাণ্ডব হবে, ভাবতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ। তাই বিশ্বভারতী এই তাণ্ডব বন্ধ করতে চেয়েছে।

 

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version