মহারাজার একটা সিদ্ধান্তেই ত্রিপুরায় বিরোধী দলের মর্যাদা হারাবে সিপিএম

ঠিক বাংলায় সিপিএম যেভাবে শূণ্যতে নেমে এসেছে, ত্রিপুরাতেও যেন সেই চিত্রই দেখা যেতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। এবং পুরোটাই নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তে

বাংলা থেকে শিক্ষা নেয়নি। এবার ত্রিপুরাতেও জোট করে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। ২০১১ সালে বাংলায় রাজপাট চুকে যাওয়ার পর ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হাত ধরেছিল তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল সিপিএম। ফল বেরোতে দেখা যায়, জোট করলেও বামেদের থেকে কংগ্রেসের আসন বেশি। বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের তকমা হারায় সিপিএম। প্রধান বিরোধীর মর্যাদা পায় কংগ্রেস। ২০২১-এর নির্বাচনে ফের বাংলায় জোট করে ভোটে লড়ে সিপিএম। ফল বেরোতে দেখা যায় বাম-কংগ্রেস জোট শূন্য। প্রধান বিরোধী দল হয় বিজেপি।

একই ছবি এবার ফুটে উঠতে চলেছে ত্রিপুরার মাটিতে। মাত্র পাঁচ বছর আগেও ২০১৮ সাল পর্যন্ত যে দলটা ত্রিপুরায় দাপটের সঙ্গে যুগ যুগ ধরে শাসন করেছিল, ক্ষমতা থেকে চলে গিয়ে সেই দলটাই যেন হঠাৎ করেই হারিয়ে যেতে বসেছে গত পাঁচ বছরে। ঠিক বাংলায় সিপিএম যেভাবে শূণ্যতে নেমে এসেছে, ত্রিপুরাতেও যেন সেই চিত্রই দেখা যেতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। এবং পুরোটাই নিজেদের ভুল সিদ্ধান্তে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে ভোটে গিয়ে। জোটের প্রাপ্ত আসন মাত্র ১৪। যার মধ্যে বামেদের ১১। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, কংগ্রেস ২০১৮ সালে একা লড়ে একটিও আসন পায়নি, আবার তাদের ঝুলিতে তিনটি আসন।

২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে শাসন ক্ষমতা হাত থেকে চলে যাওয়ার পর গত পাঁচ বছর ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী দল ছিল সিপিএম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার ছিলেন বিরোধী দলনেতা। এবার তাদের আতঙ্ক প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদাই না হারিয়ে ফেলে।

ত্রিপুরায় মোট আসন সংখ্যা ৬০টি। বিজেপি-আইপিএফটি জিতেছে ৩৩টি আসনে। বাম-কংগ্রেস মিলে পেয়েছে ১৪টি আসন। তিপ্রা মথা পেয়েছে ১৩টি আসন। বাম-কংগ্রেস মিলিয়ে ১৪টি আসন পেয়েছে। কিন্তু এখানেও রয়েছে গেরো। এর ১৪টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১১ এবং কংগ্রেস ৩টি আসন জিতেছ।

এই মুহুর্তে তিপ্রা মথা একক বৃহত্তম বিরোধী দল। যদিও তারা এখনও জানায়নি তারা বিজেপি সরকারে যোগ দেবে না বিরোধী আসনে বসবে। এর মধ্যে সিপিএম-কংগ্রেস আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট করেনি। নির্বাচন কমিশনে তাদের সমীকরণ আসন সমঝোতা হিসাবে নথিবদ্ধ করেছে। ফলে জোট ঘোষণা করলে যে সুযোগ সিপিএম-কংগ্রেস পেতে পারত সেই সুযোগ কিন্তু নেই। এবার তিপ্রা মথা যদি বিরোধী বেঞ্চে বসতে না চায় তাহলে সিপিএম ত্রিপুরায় বিরোধী দলের মর্যাদা পেতে পারে। কিন্তু যদি তিপ্রা মথা সরকারে যোগ না দেয় তাহলে বিধানসভায় বিরোধী দলের মর্যাদাও নিশ্চিতভাবে হারাবে সিপিএম। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে ত্রিপুররার রাজ পরিবারের সদস্য মহারাজা প্রদ্যুৎ বিক্রম মানিক্য দেববর্মার একটি সিদ্ধান্তের উপর। তার দল যদি বিরোধী আসনে বসার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বাংলার মতোই ত্রিপুরাতেও করুণ দশা হতে চলেছে সিপিএমের, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন:Entertainment:হৃতিকের বিয়ে নিয়ে বলি পাড়ায় গুঞ্জন!কী বলছেন রাকেশ রোশন

 

 

 

Previous articleEntertainment:হৃতিকের বিয়ে নিয়ে বলি পাড়ায় গুঞ্জন!কী বলছেন রাকেশ রোশন
Next articleআজ থেকে শুরু মহিলাদের প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম ম‍্যাচে নামছে গুজরাত জায়েন্টস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্স উইমেনস